
মিন্টু ইসলাম শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের বিনোদপুর, চককল্যানী, ম্যাচকান্দি ও ওমরপাড়াসহ চারটি গ্রামের শত শত আবাদি জমি বাঙ্গালী নদীর ভাঙনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হু’ম’কির মুখে রয়েছে আরও প্রায় ৮ শতাধিক বিঘা আবাদি জমি এবং রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে গ্রামের প্রধান সড়ক।
এই দাবিতে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় সুঘাট ইউনিয়নের বিনোদপুর গ্রামের সাহেববাড়ী এলাকায় স্থানীয়রা মা’নব’বন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
জানা যায়, ৪টি গ্রামের মানুষের একমাত্র প্রায় ৮ শতাধিক বিঘা আবাদি জমি হু’ম’কি’র মুখে রয়েছে। এবং বিনোদপুর গ্রামের মানুষের ফসল নিয়ে যাওয়ার একমাত্র প্রধান রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে কাঁদা ও খানা খন্দর হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয় রাস্তাটি।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া হুমায়ুন কবির বিপ্লব, বাবলু মিয়া, নূর- আমিনসহ অনেক ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতি বছর বাঙ্গালী নদীর ভাঙনে জমি হারিয়ে আমরা নিঃ’স্ব হয়ে পড়ছি। যেভাবে জমিগুলো ভে’ঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে এটি র’ক্ষা না করলে কয়েকটি গ্রামের মানুষের একমাত্র আবাদি জমি অচিরেই শেষ হয়ে যাবে। এছাড়াও সাহেববাড়ী বাঁধ নির্মান হলেও বাঁ’ধের উপর দিয়ে চলাচলের রাস্তাটি মাঠি দিয়ে ব্লকগুলো ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এতে করে মাত্র ৮০ থেকে ১০০ ফিট রাস্তার জন্য প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে ফসল বাড়িতে আনতে হচ্ছে বিনোদপুর গ্রামের মানুষের। তাই তারা এই মান’বব’ন্ধনে অবিলম্বে নদী ভাঙনরোধ ও রাস্তা সংস্কারের জন্য সরকারের কাছে জরুরিভাবে পদক্ষেপের দাবি জানান।
ভু’ক্তো’ভোগী ছানার আলী জানান, আমার বাবার ১ বিঘা জমির মধ্যে মাত্র আধা বিঘা জমি আছে। এখন হু’মকি’র মুখে রয়েছে। নদী ভা’ঙ্গন রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে সবটুকু হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়ব। মানববন্ধনে আসা এলাকাবাসীর দাবি, নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা ও রাস্তা চলাচলের উপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী সোহেল রানা বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিক খান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে সরে জমিনে পরিদর্শণ করে অতিদ্রুত সমাধান করা হবে।