মিন্টু ইসলাম শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার শেরপুরে বাঙালি নদীর চক কল্যাণী এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙণ শুরু হয়েছে। বিগত চারদিনের ভারী বর্ষণে বুধবার সকালে বাঁধের অন্তত ১০০ মিটার অংশ নদীতে ধ্বসে গেছে। সেইসঙ্গে একটি বসতবাড়িও নদীগর্ভে চলে গেছে। এছাড়া বাঁধের ওপর বসবাসকারী আরো শতাধিক বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে বাঁধের ভাঙণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় চকধলী, জয়লা জুয়ান, জয়লা আলাদি, জয়নগর, গুয়াগাছিসহ চার উপজেলার অন্তত পঞ্চাশটি গ্রাম ও মাঠের শতশত বিঘা জমির ফসলি হুমকির মুখে পড়েছে। তাই চরম আতঙ্কের মধ্যে দিনরাত যাপন করছেন এসব গ্রামসহ নদীপাড়ের মানুষ। তবে নদীতে ধ্বসে যাওয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পরিদর্শন করে দ্রুত সংস্কার ও মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এসএম রেজাউল করিম। এসময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামছুন্নাহার শিউলী, স্থানীয় সুঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জিন্নাহ, ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মিন্টু তার সঙ্গে ছিলেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঁধটিতে ভাঙণ শুরু হওয়ায় স্থানীয় লোকজনের সহায়তা নিয়ে কৃষক নজরুল ইসলাম তার ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। এসময় স্থানীয় বাসিন্দা আবু বকর সিদ্দিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিগত দশ বছর ধরেই এই বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ। বর্ষা মৌসুম এলেই বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙণ দেখা দেয়। ফলে ইতিমধ্যে বাঁধে আশ্রয় নেওয়া শেফালী বেগম, রেহেনা বেগম, আব্দুল মজিদ, মহির উদ্দিন, শাহেব আলী, আব্দুল আজিজসহ অন্তত ৫০ জনের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কিন্তু বাঁধের ভাঙণরোধে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেননি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তারা। তাই বাঁধটির ভাঙণ অব্যাহত রয়েছে। একই কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দা সোলায়মান আলী, আব্দুল আলীমসহ একাধিক ভুক্তভোগী।