
মিন্টু ইসলাম শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুর থানার হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়া এক আসামিকে ২৩ ঘণ্টা পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকাল ছয়টার দিকে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার একটি বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে আবার শেরপুর থানা-পুলিশের হেফাজতে আনা হয়।
ওই আসামির নাম রাব্বি মিয়া (২৭)। তাঁর বাড়ি শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আমিনপুর কলোনি গ্রামে।
পুলিশ জানায়, রাব্বি মিয়াকে গতকাল শনিবার ভোরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সকাল সাড়ে ছয়টায় শেরপুর থানায় আনা হয়। তাঁকে রাখা হয় থানার নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কের একটি কক্ষে। সকাল সাতটার দিকে তিনি বাথরুমে যাওয়ার কথা বললে, কর্তব্যরত কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম তাঁকে বের করে আনেন। এ সময় রাব্বি আচমকা পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনার পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এএসআই এরশাদ হোসাইন ও কনস্টেবল রাশেদুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে বগুড়ার পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।
শেরপুর থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম বলেন, জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি থানায় কর্তব্যরত পুলিশকে আঘাত করে পালানোর ঘটনায় রাব্বি মিয়ার বিরুদ্ধে নতুন মামলা করা হয়েছে।
সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত ২৯ জুলাই ভবানীপুর ইউনিয়নের একটি বাড়িতে চুরির মামলায় রাব্বিকে সন্দেহ করা হয়। গতকাল ভোরে কালিয়াকৈর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
এব্যাপারে বগুড়ার শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন বলেন, হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর রাব্বিকে ধরতে শেরপুর, ঢাকা, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলায় পুলিশের একাধিক দল তৎপর হয়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাঁকে আজ সকালে সলঙ্গা উপজেলার একটি বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাঁকে থানার হেফাজতে নেওয়া হয়।