আকাশ আহমেদ, (নওগা) থেকেঃ মাটিতে নুয়ে পড়া ধান, শ্রমিক সংকট, উপযুক্ত মূল্য না পাওয়া, বৈরী আবহাওয়া ইত্যাদি নানা কারণে বোরো ফসল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার কৃষকেরা।
বর্তমানে বোরো ধান কাটার ভরা মওসুমে উপজেলার সর্বত্র। বোরো ধান কাঁটা মাড়াইয়ে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। তাছাড়া বৈরী আবহাওয়া ও ঝড়ো বৃষ্টির কারণে জমির পাকা ধানের একটি বড় অংশ জমিতে বিছিয়ে গেছে। ফলে খেতের মাঝেই অনেক জমির ধানে চারা গজিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় কৃষকরা উচ্চ মূল্যে শ্রমিক দিয়ে ধান কেটে আনতে বাধ্য হচ্ছেন। ধান কাটতে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। এবার বোরো ধান চাষাবাদে লাভের মুখ দেখতে পারবে না বর্গাচাষীরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ২০ হাজার ৪ শত ৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। লক্ষ্যমাত্রার ছাড়িয়ে ২২ হাজার ৫ শত ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ হয়েছে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, মাঠ থেকে ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তবে যেসব নিচু জমিতে বৃষ্টির পানি জমতে থাকতে পারে বা ধান নুয়ে পড়েছে সেসব জমির ধান আগে ঘরে তুলছে কৃষকরা। চলতি বোরো মৌসুমে প্রতি বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে ১৬-১৮ মন হারে ফলন হচ্ছে।
উপজেলার বর্গাচাষীরা বলেন, চলতি মৌসুমে এক বিঘা(৩৩ শতাংশ) জমিতে চারা রোপন থেকে কাঁটা মাড়াই পর্যন্ত যত টাকা খরচ হয়েছে। উক্ত জমি থেকে সবটুকু ধান বিক্রি করে খরচের টাকা তোলা সম্ভব না। কৃষক মাসুদ রানা বলেন, এবার মোর ধান ভালোই হয়েছে। দুই বিঘা জমিতে ধান লাগাইছি। ধান কাটার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই মুই এ্যাকায় জমিতে ধান কাটতে নামছি। কষ্ট হলেও নিজে ধান কাটে ঘরে তুলমু।
নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমীর আব্দুল্লাহ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, উপজেলায় বোরো ধানের ভালোও ফলন হয়েছে। গত কয়েক দিন আগের ঝড়-বৃষ্টিতে ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি। আমরা শুরু থেকে চাষিদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে আসছি।