প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ন্যায় বিচার সেবা প্রাপ্তিতে গ্রাম আদালত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে -অতিরিক্ত সচিব সুরাইয়া

আইন-অপরাধ আরো চট্টগ্রাম পরিবেশ সারাদেশ
শেয়ার করুন...

স্থানীয় পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ব্যতীত অন্য কোন জনপ্রতিনিধি বিচারিক ক্ষমতা নেই। তাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের গ্রাম আদালতের কার্যক্রমকে দায়িত্ব নিয়ে সম্পন্ন করা উঠিত। অল্প সময়ে, স্বল্প খরচে স্থানীয় দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ন্যায় বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিতে গ্রাম আদালত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) বেলা ১০ টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা পর্যায়ে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম বার্ষিক অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করনীয় শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক সুরাইয়া আক্তার জাহান।

তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ার‌ম্যানসহ সদস্যদের গ্রাম আদালতের এখতিয়ারাধীন মামলাসমূহে সালিশের মাধ্যমে বিচার পরিহার করতে হবে। গ্রাম আদালত দেশের আইন ও বিধিমালা পরিচালিত একটি আদালত। এই আদালতে কোন আইনজীবীর প্রয়োজন পড়ে না। আবেদনকারী এবং প্রতিবাদী পক্ষের দুইজন সদস্য নিয়ে এই আদালত গঠিত হয় বিধায় এখানে পক্ষপাতিত্বের সম্ভাবনা নাই বললেই চলে।

স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জেলা প্রশাসন, কক্সবাজার এর আয়োজনে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নিয়মিত মনিটরিং এর মাধ্যমে গ্রাম আদালতকে আরো শক্তিশালী করা হবে। স্থানীয় মানুষ নিজেদের ছোটখাট বিরোধ ইউনিয়ন পরিষদে নিষ্পত্তি করতে পারলে জেলা আদালতে মামলার চাপও কমবে।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার সহকারী কমিশনার মো. রিফাত হোসেনের সঞ্চালনায় জেলার জুলাই ২০২৪- জুন ২০২৫ গ্রাম আদালতের কার্যক্রমের অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জসমূহ এবং শিক্ষণীয় দিকসমূহ পর্যালোচনা এবং করণীয় বিষয়ে দিক-নির্দেশনামূলক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেনসহ প্রমুখ। এছাড়া সভায় কক্সবাজার জেলার ২৯ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভার শুরুতে উদ্দেশ্য বর্ণনা ও প্রকল্পের মূল লক্ষ্য এবং স্থায়িত্বকরণ কৌশল ব্যাখ্যা করেন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প সমন্বয়ক বিভাষ চক্রবর্ত্তী।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *