রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল) প্রতিনিধি প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের পাকা ঘর ও দুই শতক জমি পেয়েছেন বরিশালের বানারীপাড়ার মনোয়ারা বেগম সুন্দরী। এখন মনোয়ারা বেগম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভাত খাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি আমার মা। মা জীবনে আপনার কাছে আর কিছুই চাই না। আপনি জমিসহ পাকা ঘর দিয়েছেন। আপনার সঙ্গে একসাথে বসে একটু খেতে চাই। আমার জীবনে আর কোনো চাওয়া পাওয়া নেই। স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৮ বছর আগে আপনার সঙ্গে বসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় ভাত খেয়েছিলাম,নামাজ আদায় করেছিলাম। এবার আপনি বানারীপাড়ায় আসবেন। আপনার সঙ্গে বসে একটু ভাত খাব। এটাই আমার জীবনের শেষ চাওয়া। ২২ মার্চ বুধবার সকালে গণভবন থেকে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় আবেগাপ্লুত মনোয়ারা বেগম সুন্দরী কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে ভাত খাওয়ার আবদার জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার আবেগঘন কথা শুণে অশ্রুসজল হয়ে পড়েন এবং বলেন, আমি আসবো বানারীপাড়ায়। মনোয়ারা বেগম বলেন, ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী আমাদের ঘর বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। তারপর আমার মা ভিক্ষা করে একটা ঘর তুলেছিল। সেই ঘরও বন্যা নিয়ে যায়। এরপর আর নিজের ঘরে থাকতে পারিনি। আজ আপনি ঘর দিয়েছেন। আমি পাকা ঘর পেয়েছি এটা স্বপ্ন না সত্যি বিশ্বাস করতে পারছি না। তিনি বলেন, বানারীপাড়া সাধারণ মানুষের আপনাকে দেখার জন্য অপেক্ষায় আছে। মা আপনি একবার বানারীপাড়া আসেন। বানারীপাড়া গরীব দুঃখী সাধারণ মানুষের একমাত্র ভরসা আপনি, আপনি আবারও প্রধানমন্ত্রী হন। হাজার বছর প্রধানমন্ত্রী থাকেন এ দোয়া করি। আপনারও মা-বাবা, ভাই নেই আমারও মা-বাবা, কোন ভাই-বোন নেই। বানারীপাড়া থেকে আপনাকে আবারও জয়েরমালা পড়াবো।
বরিশাল জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের সঞ্চালনায় এছাড়াও উপকারভোগী হুমায়ুন কবির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার আবেগঘন অনুভূমি ব্যক্ত করেন। ২২ মার্চ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাচুর্য়ালি বানারীপাড়া পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরপাড়ে সন্ধ্যা নদীর তীরে মনোরম পরিবেশে গড়ে তোলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৮৭ টি ঘরসহ উপজেলায় মোট ১৪২টি জমিসহ সেমি পাকা ঘর হস্তান্তরের উদ্বোধন করেন।