প্রত্যাশার প্রতীক

আরো বিনোদন শিক্ষা সাহিত্য সারাদেশ সাহিত্য
শেয়ার করুন...

আবু সাঈদ

কিসের বারণ আমার, মানা নেই স্মরণ করার
সেই কাকডাকা দুপুরের কথা —
চলে যাওয়া বন্ধুর লিখে রাখা ডায়েরির পাতা
দু’পলক পড়ার ও বোঝার এক নিরিখে।
সেই দিন দুপুরে আকাশে উড়েছিল এক ঝাঁক চিল
শিকার ধরেছিল ঘুরে বেড়ানো নিরপরাধ মুরগীর ছানা
তাই নিদারুণ আহাজারিতে মুরগী ঝাপটালো ডানা
এভাবে শুন্য করল এদের কোল;আরে ওরা কী পাষন্ড!
বড় সাধ করে বন্ধু সেতারাকে টেনেছিল বুকে
এক আশ্চর্য তাজমহল গড়েছিল হৃদয়ের ভুবনে
আসলে এটা বহু গল্পে গাঁথা,বেলা ডুবে গেল,
বন্ধু চলে গেল –লাল ডগমগে সূর্য ওঠার প্রত্যাশায়
ফিরে আসেনি আর–তার ছোট মাসুম-ময়নার মায়ায়।মুলতঃসে চেয়েছিল দেশকে মুক্ত করতে
হাজার নিষ্পাপ শিশুর ও স্বপ্নের বাবা হতে।
আজও মনে পড়ে বার বছরের কিশোরী আলতাবানুর কথা
যার গোলগাল চেহারায় চুপসে যেত পূর্ণিমার চাঁদ;
জানোয়ারের কবল হতে তাকেও বাঁচাতে পারেনি
তাই কান্নায় ভেঙে পড়ি–বোবার মতন।
এখন আর নয় বাঙালিরা অকুতোভয়
কেননা১৭৫৭,১৮৫৭,১৯৫২,৬৯,৭১–এর অভিজ্ঞতা আছে।
রয়েছে সবুজের মাঝে উদীয়মান প্রভাত-বেলা
যে পতাকা শোভা পায় বাঙালির প্রতিটি ঘরে নিশ্চয়
এবং প্রেরণা যোগায়’প্রজন্মের’ সঠিক পথের প্রত্যাশায়।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.