গোকুল চন্দ্র রায়,বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে শীত জেঁকে বসছে।
পৌষের মাঝামাঝি থেকেই শীতের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে।
প্রচন্ড শীত আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে গত তিনদিন ধরে দেখা মেলেনি সৃর্যের।
এই অঞ্চলে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই জেঁকে বসতে শুরু করে শীত। রাত যত গভীর হয় শীতের প্রকোপ ততই বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় রাতে গরম কাপড়ের অভাবে শীতে কষ্টে ভুগছেন ছিন্নমূল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মানুষেরা। বিশেষ করে রাতের বেলা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বৃদ্ধা ও শিশুদের।
বীরগঞ্জ একটি পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নে হিম শীতল হাওয়া বয়ে যাওয়ার কারণে ঠান্ডার তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে সকাল ও সন্ধ্যার পর শীতের প্রভাব বেশি লক্ষ করা যায়। ফলে হাড় কাঁপানো শীতে জবুথুবু হয়ে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষগুলো। পৌষের মাঝে এসে যেন হামলে পড়েছে শীত। কথাও কথাও ভোরে ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছেন এ সব ইউনিয়নের মানুষ। অর্থ অভাবে শীতবস্ত্র কিনতে পারছেন না নিম্ন আয়ের ছিন্নমূল মানুষ।
গ্রামাঞ্চলে শীতের সঙ্গে কনকনে বাতাসে কাহিল হয়ে পড়েছেন দিনমজুর ও ক্ষেতমজুররা।
এক সপ্তাহ আগে পুরাতন গরম কাপড়ের দাম তেমন না থাকলেও গত তিনদিন থেকে চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
পুরাতন গরম কাপড় ক্রেতাসাধারণরা হিমশিম খাচ্ছে নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো। সরকারিভাবে কম্বল বরাদ্দ আসলেও সংখ্যায় তা অপ্রতুল। গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন নিম্ববিত্তরা। শীতের সঙ্গে কনকনে বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হচ্ছে না এবং বিকেল হলেই জনশূন্য হয়ে পড়ে রাস্তাঘাট।
স্কুল – কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষারর্থীদের উপস্থিতি একেবারেই কমে গেছে। বীরগঞ্জ পৌর শহরের বেশিরভাগই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সকাল ১০ টার পর তাদের দোকান খুলছেন। হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা অর্ধেকে নেমে গেছে। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা বলছেন, বেলা ডুবার সাথে সাথে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো থাকছে ক্রেতা শূন্য।
মাইক্রোবাস ড্রাইভার মমিনুর রহমান জানান,ঘন কুয়াশার কারণে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামলেই আতষ্কের মধ্যে পথ চলতে হচ্ছে। গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে ও সামনের দশ গজ দূরে কিছু দেখা যাচ্ছে না। এ কারণে প্রতিটি সড়কেই প্রতিদিনই দুই চারটি দুর্ঘটনা ঘটছে।