মোঃ ইয়াছিন রুবেল, নোয়াখালী প্রতিনিধি:- নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলার ৩নং ধানসিঁড়ি ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শেখ ফরিদ নামে এক যুবককে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়ে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার সময় ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের জনতা বাজার (লেঙ্গার দোকান) নামক স্থানে। অভিযুক্তরা হলেন, বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৫) নোয়ার হোসেন (৩২) ও জয়নাল আবেদীনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৫২)। সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, শেখ ফরিদের সাথে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাথে পূর্বে দোকানের ভিটি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো, এবং উভয় পক্ষের কোর্টে মামলা থাকা অবস্থায় গত ৪/৫ মাস আগে ঘটনাটি মিমাংসা হয়। সেই শত্রুতার জের ধরে দেলোয়ার শেখ ফরিদকে প্রাণ নাসের উদ্দেশ্যে অন্তর্ভূত হামলা চালায়। ফরিদ মোটরসাইকেল যোগে উপজেলায় যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠলে পিছন দিক থেকে দেলোয়ার সহ তার সহযোগীরা লাঠি দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল সহ শেখ ফরিদ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে, এবং তার পকেটে থাকা নগদ ৭০ হাজার
টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে জানান ফরিদ। অন্যদিকে লাঠির আঘাতে তার বাম হাত ভেঙে যায়। পরে দোকানের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হসপিটালে পাঠান। এ ঘটনায় নোয়াখালী কবিরহাট থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। ভুক্তভোগী। ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে অভিযুক্ত ব্যক্তি নোয়াব হোসেন ও জাহাঙ্গীর ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, শেখ ফরিদের সাথে আমাদের বাজারের ভিটি নিয়ে বিরোধ ছিল, সেটা মিমাংসাও হয়ে গেছে। এখন হটাৎ করে কেনো দেলোয়ার তার উপর হামলা চালিয়েছে সেটা আমরা জানিনা। দেলোয়ারের পিতা জাহাঙ্গীর আরো বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি নিজেই দুঃখ প্রকাশ করেছি, কারণ আমাদের সাথে এখন শেখ ফরিদের কোন বিরোধ নাই। তবে আমার ছেলে তার উপর হামলা চালিয়েছে এটা সত্য, কিন্তু লোহার রড় দিয়ে বাড়ি দিয়েছে সেটা সত্য নয়। একটি পোপান গাছের লাঠি ছিলো সেটা দিয়ে আঘাত করেছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, মারামারির বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে। এসআই মনিরের মাধ্যমে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে রিপোর্ট অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।