বরগুনা সংবাদদাতাঃ
বরগুনার আমতলী পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীর ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন ও মানুষ চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
জানা গেছে, পূর্ণিমার জোঁ এর প্রভাবে পায়রা নদীতে জোয়ারের স্বাভাবিক পানির চেয়ে ২০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপকুলী অঞ্চল আমতলীর চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বরগুনা-আমতলী যাতায়াতের মাধ্যম পায়রা নদীর ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন ও মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।মানুষ হাটু সমান পানি ডিঙ্গিয়ে সড়কে উঠছে। দ্রুত পায়রা ফেরির গ্যাংওয়ে সংস্কার করে উঁচু গ্যাংওয়ে নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
পায়রা নদীর কোলঘেষে অবস্থিত তালতলী উপজেলার পচাঁকোড়ালিয়া ও আমতলীর ঘোপখালী, বালিয়াতলী, পশুরবুনিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, পশ্চিম আমতলী, ফেরীঘাট, পুরাতন লঞ্চঘাট, আমুয়ার চর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, আঙ্গুলকাটা, গুলিশাখালী ও হরিদ্রবাড়িয়া নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ঘর বাড়ী পানিতে তলিয়ে গেছে।
আজ বুধবার দুপুরে পায়রা নদীর তীরে অবস্থিত আমতলী ফেরিঘাট এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ফেরির গ্যাংওয়ে পানিতে তলিয়ে গেছে। মানুষ হাটু সমান পানি ডিঙ্গিয়ে সড়কে উঠছেন।যানবাহন চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে।
লঞ্চঘাট এলাকার বাসিন্দা জিদান বলেন, পূর্ণিমার জোঁর কারনে পানি বৃদ্ধি পেয়ে পায়রা নদী সংলগ্ন চর ও নিমাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নিম্নাঞ্চলে বসবাসরত মানুষরা উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। আংগুলকাটা এলাকার দেলোয়ার মুন্সি বলেন, পানিতে ঘর তলাইয়্যা গেছে তাই অন্য স্হানে আশ্রয় নিয়েছি।
পায়রা ফেরি ঘাটের পরিচালক হাসান মিয়া বলেন, জোয়ারের পানিতে ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন ও মানুষ চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত ফেরির গ্যাংওয়ে সংস্কার করে উচ্চতা বাড়ানো জরুরী।
আমতলী গেইজ রিডার আবুল কালাম আজাদ বলেন, পায়রা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম সোহাগ বলেন, তালতলীর তেঁতুলবাড়িয়া এলাকার ভাঙ্গে যাওয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দ্রুত সংস্কার করা হবে।