রাজবাড়ী সংবাদদাতাঃ
পাবনার সেই আওয়ামী লীগ নেতা আক্কাছ আলী বেপারী (৬৫) কে প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অংশ নেওয়া ট্রলারের চালককে আটক করেছে রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)।
অভিযুক্ত ট্রলার চালক গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের অফু মন্ডলের ছেলে মো. রাশেদুল ইসলাম (২০)। তাকে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিজ এলাকা থেকে পুলিশ আটক করে।
এর আগে গত ২১ জুন দুপুরের দিকে জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের রাখালগাছি এলাকার স্থানীয় করিম প্রামানিকের বাড়ির সামনে রাস্তায় অবস্থান করছিলেন পাবনার আমিনপুর থানার ঢালারচর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাছ আলী বেপারী। এসময় নদী পথে ট্রলার যোগে কয়েকজন সন্ত্রাসী এসে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পুনরায় ঐ ট্রলারযোগে ফিরে যায়। জানা গেছে সন্ত্রাসীরা নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সর্বহারা দলের সক্রিয় সদস্য। ঘটনাস্থল দূর্গম চর রাখালগাছির দূরত্ব গোয়ালন্দ ঘাট থানা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার।
রাজবাড়ী ডিবি পুলিশের ওসি প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সন্ত্রাসীরা যে ট্রলারে করে হত্যাকান্ডে অংশ গ্রহণ করেন ওই ট্রলারের চালক ছিলেন রাশেদুল ইসলাম। পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামানের নির্দেশে ছায়া তদন্ত হিসেবে কাজ করছিল ডিবি পুলিশের একটি দল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীররাতে নিজ এলাকা থেকে রাশেদুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে তাকে ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেনও একই সাথে ট্রলার চালক রাশেদুল হত্যকান্ডে জড়িত অন্যান্য সকল আসামীদের নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করেন জানান।
গত শুক্রবার তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করলে সে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দী দেন।
এ ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, হত্যাকান্ডের সময় সন্ত্রাসীরা যে ট্রলারটি ব্যবহার করেছিল ওই ট্রলার চালককে ডিবি পুলিশের একটি দল রাশেদুল ইসলাম কে আটক করলে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের ছেলে বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামী করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা করেছিলেন। তবে ঐ মামলায় ট্রলার চালক রাশেদুলকে আসামি করা হয়নি বলে জানা যায়। তবে ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের আটকের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।