কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে তানিয়া আক্তার তানজিনা (২০) নামের এক গৃহবধূ চিরকুট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) পিতার বাড়ির উপজেলা দক্ষিণ শাকতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে ও পৌর সদরের নাওগোদা গ্রামের সোহাগের স্ত্রী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২ বছর আগে পৌর সদরের নাওগোদা গ্রামের সোহাগের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তানিয়ার। বিয়ে পর থেকে স্বামী সোহাগ আর এক বছরের কন্যা শিশুকে নিয়ে চট্টগ্রামে থাকতেন তারা। গত শুক্রবার চট্টগ্রাম থেকে শ্বশুর বাড়ি নাওগোদা আসেন স্বামীকে নিয়ে। গত সোমবার স্বামীক নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান তানিয়া। বুধবার ভোর সকালে স্বামী সোহাগ ট্রেনযোগে চট্টগ্রাম চলে যান। পরে ১১টার দিকে তানিয়া একটি চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেন।
চিরকুটে লিখা আছে, ‘‘আমি মরে গেলে আমার মরার পেছনে কেউ নই। আমি নিজ ইচ্ছায় জীবন দিয়েছি। আমাকে মাটি দেবে চট্টগ্রামে। আমাকে বাড়িতে মাটি দিবে না। আমি মরার পরে কেউ কান্না করবে না। আমাকে মাটি দিবে চার জন। তারা হলো শহরের মানুষ। আমাকে মাটি দিবে হৃদয়, আকরাম, রাজু ভাই ও রকি ভাই। আর কেউ মাটি দিবে না। আমি বলে গেলাম। আর আমাকে পলকি করে নিয়ে যাবে। আমার কবরে প্রথম মাটি দিবে আমার বাবা। তার টাকা দিয়ে আমার কাফনের কাপড় কিনবে। আমি মরে গেলাম। আমাকে কেউ ফিরে পাবে না। ইতি তানজিনা।’’
নিহতের মা আছমা বেগম বলেন, ‘সপ্তাহ খানেক আগে মেয়ে ও তার স্বামী সোহাগ চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে আসে। এর মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো ঝগড়া-ঝামেলা ছিল না। বুধবার সকাল ভালো মতো তার স্বামী সোহাগ চট্টগ্রামে চলে যায়। ১১টার দিকে সে চিরকুট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।’
নাঙ্গলকোট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’