নাইমুর রহমান,ইবি প্রতিনিধি-
পরীক্ষায় অসদুপায়ের অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পাঁচ বিভাগের আট শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ছয়জনকে এক সেমিস্টারের সকল কোর্স ও একজনকে একটা কোর্সের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। তবে একজনকে সতর্ক করা হয়েছে। গত ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত পরীক্ষা শৃঙ্খলা কমিটির ৬৪তম সভায় তাদের শাস্তির বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। শনিবার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এস.এম. আশিকুজ্জামান, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ মাহামুদ রুহান, অর্থনীতি বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুহতামীম আদীব আনসারী, মার্কেটিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল সাকিব ইয়াছির, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান সুমন, রুবায়েত বিন আনোয়ার রাতুল, মাসুদ রানা ও মাহাদী হাসান সজল।
জানা গেছে, পরীক্ষা শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের অপরাধের ৫(৭) ধারা অনুযায়ী ৬(২) উপ-ধারা মোতাবেক এস.এম. আশিকুজ্জামানের বি.এসসি (ইঞ্জিনিয়ার)১ম বর্ষ ২য় সেমিস্টার পরীক্ষা- ২০২১ এর সকল কোর্সের পরীক্ষা বাতিল করার সুপারিশ করা হয়। ৫ (১) ধারা অনুযায়ী ৬(১) উপ-ধারা মোতাবেক আসিফ মাহামুদ রুহানির ২য় বর্ষ ১ম সেমি: পরীক্ষা ২০২২ এর আইসিটি- ২১০৫ নং কোর্সের পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়। এছাড়া যাবতীয় ব্যয় নিজ খরচে বহন সাপেক্ষে উক্ত কোর্সের রিটেক পরীক্ষা দিতে পারবে। তবে সাপ্লিমেন্টারী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না মর্মে সুপারিশ করা হয়।
এদিকে ৫(১০) ধারা অনুযায়ী ৬(৩) উপ-ধারা মোতাবেক মুহতামীম আদীব আনসারীর এম. এস-এস ১ম সেমি: পরীক্ষা-২০২২ এর সকল কোর্সের পরীক্ষা বাতিল করার সুপারিশ করা হয়। ৫(৭) ধারা অনুযায়ী ৬(২) উপ-ধারা মোতাবেক আল সাকিব ইয়াছিরের বিবিএ ৩য় বর্ষ ১ম সেমি পরীক্ষা- ২০২২ এর সকল কোর্সের পরীক্ষা বাতিল করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া ৫(৭) ধারা অনুযায়ী ৬(২) উপ-ধারা মোতাবেক মেহেদী হাসান সুমন, রুবায়েত বিন আনোয়ার রাতুল ও মাসুদ রানার বি. এস-সি (সম্মান) ৪র্থ বর্ষ ১ম সেমি: পরীক্ষা-২০২২ এর সকল কোর্সের পরীক্ষা বাতিল করার সুপারিশ করা হয়।
তবে মাহাদী হাসান সজলের অপরাধের ধরণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনান্তে তাকে সতর্ক পত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরণের কর্মকান্ডে জড়িত না থাকে।
এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, যারা অসদুপায় অবলম্বন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ সুপারিশ করেছে। এর কপি সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানের কাছে পাঠানো হয়েছে।