পদ্মা সেতুতে আঘাত মানেই বাংলাদেশের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত: সেতুমন্ত্রী

জাতীয় রাজনীতি সারাদেশ
শেয়ার করুন...

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘পদ্মা সেতুতে আঘাত মানেই সারাদেশের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত। জাতীয়ভাবে মানুষ আহত হচ্ছে। অনুভুতিতে আঘাত লাগছে। কেন পদ্মা সেতুতে বার বার আঘাত লাগছে, কি কারণে-তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ শুক্রবার বিকেলে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে এ সব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহস ও সক্ষমতার সোনালী ফসল। পদ্মাসেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, এখনও হচ্ছে। দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এখনও পেছনে লোক লেগে আছে। আর শর্ষের মধ্যে ভূত আছে কি না, তা খুঁজে দেখতে হবে। এখানে বিআইডব্লিউটিসির লোকজন, সেতু বিভাগের লোকজনও আছেন। সেনাবাহিনীর অনেকে প্রথম থেকেই আছেন। বারবার কেন পদ্মা সেতুতে আঘাত লাগছে- সেটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতুর পিলারে আগে যে ধরনের আঘাত লেগেছে, আজ শুক্রবার সকালেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। এটাকে নিছক কোন দুর্ঘটনা বা চালকের অদক্ষতা বলে এড়িয়ে যাওয়া ভুল হবে। এখানে কোন ষড়যন্ত্র আছে কি না, অন্তর্ঘাত আছে কি না-সেটা তদন্ত করে দেখা হবে। পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় সম্পদ। গোটা জাতীর সম্পদ।’
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, কেন সেতুতে বারবার আঘাত করা হচ্ছে সেটা খতিয়ে দেখব। আগামী বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মাসেতুর উদ্বোধন করবেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে সভা হবে। সভায় এটা তুলে ধরা হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন প্রমুখ। এ ছাড়া পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৯৯ কম্পোজিট বিগ্রেডের কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসানসহ সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.