জহুরুল ইসলাম হালিম, রাজবাড়ী থেকেঃ হঠাৎ করেই পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফেরির র্যাম পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া প্রান্তের দুটি ফেরিঘাট শুক্রবার ভোর থেকেই যানবাহন পারাপার পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও ২১টি ফেরির মধ্যে ৪টি ফেরি ভাসমান কারখানায় মেরামতে থাকায় ঘাট এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও যাত্রীবাহী বাসের দীর্ঘ সারি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে এ সারি আরো বাড়বে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
শুক্রবার (২০মে) সরেজমিনে ফেরিঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত দীর্ঘ ৬কিমি: এলাকাজুড়ে ফেরিপারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে ৬শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। এছাড়াও অপর আরেকটি লাইনে ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ গেট পর্যন্ত ৩কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ২শতাধিক পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী যানবাহন পারের অপেক্ষায় রয়েছে। ফলে মহাসড়কে সিরিয়ালে আটকে থেকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের। শুক্রবার বেলা ১টা পর্যন্তও ঘাট সংস্কারের কাজ শুরু হয়নি।
সিরিয়ালে আটকে থাকা পণ্যবাহী ট্রাকের চালক নিরব মোল্লা বলেন, গত কাল সন্ধ্যায় ঘাটে সিরিয়ালে আটকা পড়ি এখন বেলা প্রায় ১টা বাজে এখন পর্যন্ত ফেরির নাগাল পাইনি, যে পরিস্থিতি তাতে আজকে ফেরি পাওয়ার সম্ভবনা খুবই কম। সড়কের উপর সিরিয়ালে আটকে থেকে তীব্র গরমে জীবনটা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মাঝে মাঝে মনে হয় এ পেশা ছেড়ে দেই। কিন্তু উপায় নেই বাঁচতে হলে এ কর্ম করেই খেতে হবে।
বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার আরটিও রাকিব হাসান বলেন, হঠাৎ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দৌলতদিয়া প্রান্তের দুটি ঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং ২১টি ফেরির মধ্যে ৪টি ফেরি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ভাসমাণ কারখানায় মেরামতে থাকায় ১৭টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। দ্রুতই ঘাট দুটি সংস্কার করে যানবাহন পারাপারের উপযোগী করা হবে।
বিআইডব্লিউটিএ আরিচা অঞ্চলের সহকারি প্রকৌশলী শাহ আলম জানান, আমাদের দুই পারের মোট তিনটি ঘাটের পন্টুনে পানি উঠেছে। পাটুরিয়া প্রান্তের ঘাটটি ঠিক করা হচ্ছে। এর পর দৌলতদিয়া প্রান্তের ঘাট দুটি ঠিক করা হবে। একটি মাত্র রেকার মেশিন থাকায় ঘাট সংস্কারে বিলম্ব হচ্ছে।