অনলাইন ডেস্কঃ নোয়াখালীতে বাবার কোলে গুলিবিদ্ধ হয়ে শিশু তাসপিয়া আক্তার নিহতের ঘটনায় হওয়া মামলার প্রধান আসামি মো. রিমনসহ (২৩) পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। মঙ্গলবার জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক এলাকা থেকে অস্ত্র, গুলিসহ তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারের সময় র্যাবের সঙ্গে রিমন ও তাঁর সহযোগীদের বেশ কিছুক্ষণ গোলাগুলি হয়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
র্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন আসামিদের গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১–এর একটি দল শিশু তাসপিয়া হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে সুবর্ণচরের চরক্লার্ক এলাকায় রাতে একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে রিমন ও তাঁর সহযোগীরা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। কিছুক্ষণ গোলাগুলির পর র্যাব চারদিক থেকে ঘেরাও করে শিশু তাসপিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রিমনসহ পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খন্দকার মো. শামীম হোসেন। এ বিষয়ে বুধবার সকালে র্যাবের নোয়াখালী ক্যাম্প কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার পাঁচ আসামি হলেন তাসপিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রিমন (২৩), তাঁর সহযোগী ও এজাহারের ৩ নম্বর আসামি মহিন (২৫), ৪ নম্বর আসামি মো. আকবর (২৫), ৫ নম্বর আসামি মো. সুজন (২৮) এবং ১০ নম্বর আসামি নাঈম ওরফে বড় নাঈম (২৩)।
গত বুধবার বিকেলে শিশু তাসপিয়া আক্তারকে চিপস-জুস কিনে দিতে বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর মালেকার বাপের দোকান এলাকায় যান প্রবাসী আবু জাহের। তিনি তাঁর ভাগনে আবদুল্লা আল-মামুনের দোকানে কথা বলছিলেন। এমন সময় পূর্ববিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসী রিমন কয়েকজন সহযোগী নিয়ে সেখানে হামলা চালান। জাহের তাঁর মেয়েকে কোলে নিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে গুলি করেন রিমন।