রাজশাহী সংবাদদাতাঃ
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক সারাদেশে দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ততকে স্বাগত জানিয়ে রাজশাহীতে নির্দিষ্ট সময়েই দোকানপাট বন্ধ হতে দেখা গেছে।
২০ জুন সোমবার রাত ৮ টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর ব্যস্ততম এলাকা আরডিএ মার্কেট, সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট, আলুপট্টি, অলকার মোড়, সোনাদিঘি, নিউ মার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সরকার ঘোষিত যেসব দোকান বন্ধ করার নির্দেশনা আছে। সেসব ব্যবসায়ীরা তাদের নিজ মনে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়।
এসময় রাজশাহী নগরীর সড়ক গুলোতে ঘরমুখি মানুষের ভীড়ের ফলে যানজট বেঁধে যায়। এছাড়াও সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, পুলিশ প্রশাসনসহ শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের তৎপরতা লক্ষ করা গেছে।
ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, প্রধানমন্ত্রী যা সিন্ধান্ত নেন তা অত্যান্ত ভালো। আমরা তা মেনে নিয়ে সময়ের মধ্যেই দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছি। তবে ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, কিছু কিছু দোকানে অধিক লাইটের ব্যবহার দেখা যায়। সেসব লাইটগুলো যদি না জ্বলে ফলে অনেকটা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে এবং এগুলো সঠিক মনিটরিং করার জন্য তিনি সরকারের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানান।
বাজার করে ঘরে ফেরা সাধারণ ক্রেতা, ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, বৈশ্বিক যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সংকট তা উত্তরণের জন্য সরকার যে আগামী প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে তা সত্যিই ভালো সিদ্ধান্ত। এমন সিন্ধান্তকে তারা সাধুবাদ জানিয়ে আরও বলেন, এই সিন্ধান্ত অব্যহত থাকলে আমাদের অনেক কিছু সাশ্রয় হবে এবং আমরা সংকট থেকে উত্তরণ পাবো।
রাজশাহীর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শকের উপ-মহাপরিদর্শক আরিফুর ইসলাম জানান, বিদ্যু ও জ্বালানি সাশ্রয় সেই সাথে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দির্শেনা পালনের জন্য আমরা মাঠে রয়েছি। রাজশাহীর প্রায় সকল দোকানপাট ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সাময়ের মধ্যে তারা বন্ধ করে দিয়েছে।
রাজশাহীবাসীর এমন সচেতনা ও সরকারের নির্দেশনা সাড়া দেওয়ায় তিনি রাজশাহীতে বাসীকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দরা আমাদের সহযোগিতা করছে। ভবিষ্যতেও এমন সহযোগিতা কামনা করেন। তবে তাদের সঠিক মনিটরিং কার্যক্রম ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে যাবেন বলে জানান।