কুমিল্লা দক্ষিন জেলা প্রতিনিধিঃ
ভুল চিকিৎসায় মূত্যু, টাকার বিনিময়ে লাশের রফাদফার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ইসলামিয়া জেনারেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের নগরিপাড়া গ্রামের ফাতেমা (২৫) এর সিজার (অপারেশন) এর জন্য উপজেলার ইসলামিয়া জেনারেল হাসপাতালে আনলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অফিসার ও সার্জন ডাঃ মাহমুদা আক্তার মুক্তা ও ডাঃ আবু নাসের নেতৃত্বে আমেনার তৃতীয় সিজার (অপারেশন) শুরু হয়।
পরে ভুল অপারেশন করে অতিরিক্ত রক্ত খননে ফাতেমার অবস্থা গুরুতর হলে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ তাদের খরচ বাবত আট হাজার টাকা ফি রেখে কুমিল্লার একটি প্রাইভেট হসপিটালে রেফার করে।
তবে কুমিল্লা নেওয়ার পথেই ফাতেমার মৃত হয় বলে জানা যায়।
পরে আমেনার স্বামী’সহ আত্মীয় স্বজনরা হসপিটালে আসলে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ প্রেসক্লাব থেকে সাংবাদিক খবর দিয়ে হসপিটালের বিতর একটি কক্ষে বসে সাংবাদিকের উপস্থিতিতে টাকার বিনিময়ে লাশের রফাদফা করে সাদা কাগজে ফাতেমার স্বামীর সাক্ষর গ্রহণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফাতেমার এক আত্মীয় জানান, মিডিয়ার সামনে কোন কথা বলতে এবং থানায় অভিযোগ জানাতে নিষেধ করা হয়েছে।
কোন সাংবাদিকের উপস্থিতিতে এমন রফাদফা করা হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, কুমিল্লা টিভি নামক একটি ফেসবুক পেইজের প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম মজুমদারের উপস্থিতিতে।
অভিযুক্ত ডাক্তারদ্বয়ের সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।
হসপিটাল ম্যানেজার রায়হান বলেন, এমন একটি ঘটনা ঘটেছে সেটি সত্য কিন্তু আমাদের হসপিটাল থেকে কুমিল্লায় যাওয়ার পথে মৃত্য হয়।
তিনি আরো বলেন, আমরা মানবতারর দিক বিবেচনায় নবজাতকের চিকিৎসা খরচ বহন করার বিষয়ে তাদের কে জানিয়েছি।
হসপিটাল কর্তৃপক্ষ টাকার বিনিময়ে লাশের রফাদফা কিভাবে হলো এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে কথিত সাংবাদিক শরিফুল কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তিনি এই বিষয়ে কোন কিছুই জানেন না।
এই প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান কর্মকর্তা ডাঃ দেবদাস দেব বলেন, বিষয়টি কেউ অবগত করে নি, আপনার মাধ্যমে জেনেছি অবশ্যই পরিশর্দন টীম পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে কেউ অবগত করেনি তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।