কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেকের বাড়ির পাশে অবৈধভাবে সিএনজি গ্যাস স্টেশনে (৫ এপ্রিল) মঙ্গলবার র্যাব-১১ এর সিপিসি-২, কুমিল্লা কর্তৃক বিশেষ অভিযানে প্রক্রিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ভিতর গ্যাস সিলিন্ডার স্থাপন করে অবৈধভাবে সিএনজি গ্যাস সরবরাহের সময় ২ জনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার ও একটি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করে র্যাব।
এবিষয়ে কিছু দিন আগে একটি নিউজ প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন পত্রিকায়, কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বেআইনী ভাবে ট্রাকে রক্ষিত ক্যাসকেড ষ্টোরেজে গুচ্ছ সিলিন্ডার থেকে নজেলের মাধ্যমে ঝুকিপূর্ণ ভাবে সিএনজিতে গ্যাস বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ নাঙ্গলকোট থানা পূর্ব (কোদালিয়া) পৌরসভা, ৩ নং ওয়ার্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে বিশেষ প্রক্রিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ভিতর গ্যাস সিলিন্ডার স্থাপন করে অবৈধভাবে সিএনজি গ্যাস সরবরাহের সময় ২ জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এই চক্রটি মূলতঃ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের আড়ালে সরাসরি গাড়িতে জ্বালানী সরবরাহ করার পাশাপাশি বিশেষ প্রক্রিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ভিতর সিলিন্ডার স্থাপন করে মিটার ব্যতীত মূল গ্যাস লাইন থেকে গ্যাস মজুদ করে তা অবৈধভাবে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং যেসব এলাকায় গ্যাস সংযোগ নেই সেসব এলাকার বিভিন্ন কারখানায় চড়ামূল্যে বিক্রি করে।
এছাড়াও এই চক্রটি সিএনজি গ্যাস সংগ্রহ করে বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ সিএনজি স্টেশন স্থাপন করে প্রতি ঘটফুট প্রচলিত বাজার মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে বিক্রি করে আসছিল। সিএনজি স্টেশনে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত টাকার পরির্বতে চোরাই পথে চড়া দামে বিক্রি করে। এভাবে অবৈধ ভাবে গ্যাস চোরাই পথে সরবরাহ ও বিক্রির সময় বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে এবং এর পাশাপাশি মিটার ব্যতীত এই গ্যাস বিক্রির ফলে সরকার বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। গ্রেফতারকৃত আসামী হলোঃ কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার বসন্তপুর গ্রামের অলিউর রহমানের ছেলে মোঃ সুমন ফরাজী(২৫), একই থানার তুলাসার গ্রামের ইয়াকুব মৃধার ছেলে মোঃ ইবনে সাইদী জুবায়েদ হোসেন(২১)। অভিযানে ০১টি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়।
উপস্থিত স্থানীয় এলাকাবাসী জানান – নাঙ্গলকোট উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ২০০ ফিট দক্ষিণে নাঙ্গলকোট পৌর মেয়রের নতুন বাড়িতে খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে একটি লরি ট্রাক সকাল থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত বেআইনিভাবে গ্যাস বিক্রি করছে।
অনুমোদনহীন এসব ভ্রাম্মামান ট্রাকের নেই ফিটনেস, বিস্ফোরক লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন কিংবা জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন। তাই নয় এসব লরি ট্রাক এর ভেতর ৬০ থেকে ১৫০টি গুচ্ছ সিলিন্ডার থাকে। সেগুলোর কোনো ফিটনেস না থাকায় যেকোনো সময় বিস্ফোরণ হয়ে ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। চোখের পলকে পুড়ে ছাই হয়ে যেতে পারে পৌরশহর সহ কয়েকটি গ্রাম।
নাঙ্গলকোটে ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন না থাকায় অত্র এলাকা এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ। তার উপর এমন কোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য হবে বলে মনে করে এলাকার সাধারণ মানুষ।
র্যাবে এমন অভিযানে আমরা অনেক আনন্দিত, কারণ আমরা অনেক আতঙ্কের মাঝে থাকতাম সারাক্ষণ ভয় বিরাজ করতো আমাদের মাঝে কখন জানি বিস্ফোর হয়। আমরা র্যাব ১১ কুমিল্লা কাছে কৃতজ্ঞ।