জাবেদ তালুকদার, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকেঃ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনয়নের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মনোনয়ন প্রাপ্তদের তালিকা জানানো হয়। নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্তরা হলেন- ১নং বড় ভাকৈর (পশ্চিম) ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সমর চন্দ্র দাশ, ২নং বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আক্তার মিয়া ছোবা, ৩নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নে যুক্তরাজ্য আওয়ামী যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আছাবুর রহমান (জীবন), ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু সাঈদ এওলা মিয়া, ৫নং আউশকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ দিলাওর হোসেন, ৬নং কুর্শি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আলী আহমেদ মুছা, ৭নং করগাঁও ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ বজলুর রহমান, ৮নং নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে নবীগঞ্জ পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, ৯নং বাউসা ইউনিয়নে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু ছিদ্দিক, ১০নং দেবপাড়া ইউনিয়নে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল মুহিত চৌধুরী, ১১নং গজনাইপুর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাবের আহমেদ চৌধুরী, ১২নং কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আহমেদ পাঠান, ১৩নং পানিউমদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইজাজুর রহমান। প্রার্থীদের দলীয় মনোয়ন নিশ্চিত করে প্রেস বিজ্ঞপ্তির পর থেকে মনোনয়ন বঞ্চিতদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ প্রার্থীতা পরিবর্তনের জন্য আপিল করেছেন বলে জানা গেছে। অনেকে মনে করছেন জনসংশ্লিষ্ট ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে বিতর্কিত ও এলাকার জণগনের সাথে সম্পৃক্ততা নেই এমন ব্যক্তিরা মনোয়ন পাওয়ায় জয় নিশ্চিত করা সম্ভব নাও হতে পারে। এছাড়াও অনেকে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়েও অনেকের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
অপরদিকে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করলেও থেমে নেই তাদের তৎপরতা। বিভিন্ন কলা কৌশলে উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ স্ব-স্ব ইউনিয়নে তাদের দলীয় নেতৃবৃন্দকে বিজয়ী করতে বিভিন্ন দিক নির্দেশনার পাশাপাশি আট-ঘাট বেঁধে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে দল সমর্থীত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে গোপনে সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছেন বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসীল অনুযায়ী ৩য় ধাপে উপজেলার ১৩টি-সহ সারাদেশে ১০০৭ টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২ নভেম্বর, যাচাই-বাছাই ৪ নভেম্বর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১১ নভেম্বর ও প্রতীক বরাদ্ধ ১২ নভেম্বর।