জাবেদ তালুকদার, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ): ঢাকা সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়ী অঞ্চলখ্যাত দিনারপুর এলাকায় বিআরটিসি পরিবহনের একটি বাস ও দুইটি সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়ে ও একই পরিবারের ৩ জনসহ মোট ৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০জন। অদ্য, ৭ ডিসেম্বর (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের ফুলতলী বাজারস্থ শাহ মুশকিল আহসান (র.) মাজারের নিকট দুর্ঘটনা ঘটে। ২ ঘন্টা ব্যাপি দূর্ঘটনা কবলিত গাড়ি ও নিহতদের লাশ উদ্ধারকাজ চলে। এসময় ঢাকা সিলেট মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ থাকে।
দূর্ঘটনায় একই পরিবারের নিহত ৩ জন হলেন, গজনাইপুর ইউনিয়নের মুড়াউরা গ্রামের আবু তাহের স্ত্রী ২৮ বছর বয়সী সামিরুন বেগম তার ২ বছরের শিশু মারিয়া আক্তার ও আবু তাহেরের ভাই আনু মিয়ার স্ত্রী ২৫ বছর বয়সী হালিমা বেগম। নিহত অন্যরা হলেন, সাতাইহাল গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র ২২ বছর বয়সী অন্তর মিয়া, সাতাইহালের কাজীপাড়া গ্রামের ১৯ বছর বয়সী লিজা আক্তার, দেবপাড়া ইউনিয়নের লতিবপুর গ্রামের ৩০ বছর বয়সী কিতাব আলী, সাতাইহাল গ্রামের মৃত সুরত আলীর ছেলে ১৮ বছর বয়সী লিটন মিয়া ও এক অজ্ঞাত পুরুষ।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, কুমিল্লা থেকে সিলেটগামী বিআরটিসি পরিবহনের যাত্রীবাহী ঢাকা মেট্রো-(ব-১১-৫৫১৮) বাসের সাথে আউশকান্দি হতে পানিউমদাগামী যাত্রীবাহী সিএনজি (হবিগঞ্জ-থ ১১-৬৭৭৭) ও অজ্ঞাত একটি সিএনজিসহ দুটি সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি সিএনজিই দুমড়ে-মুচড়ে যায়। একটি সিএনজিসহ বাস মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৮ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বাসের যাত্রীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১০জন। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে তাঃক্ষনিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ, শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ, গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ এবং নবীগঞ্জ ও শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ স্থানীয় জনসাধারণ উদ্ধার কাজ শুরু করে।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল হক ভূইয়া উক্ত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।