বায়জিদ হোসেন, মোংলা সংবাদদাতাঃ ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট বরাদ্দে প্রাণ-প্রকৃতিসহ ধরিত্রীকে বাঁচাতে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে এসে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। উপকূলজুড়ে সুপেয় পানি সরবরাহ, সুন্দরবন ও পশুর নদীসহ সকল নদ-নদী-খাল-জলাশয়-পাহাড়-পর্বত-প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা করতে জলবায়ু সহিষ্ণু পরিবেশবান্ধব এবং জনবান্ধব টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
২৬ মে বুধবার বিকেলে মোংলার কানাইনগর পশুর নদীর পাড়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এবং পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে উঠানবৈঠক’র আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত উঠানবৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাপা নেতা মোংলা জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ হাওলাদার। উঠানবৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বাগেরহাট জেলা আহ্বায়ক পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ।
উঠান বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন বাপা নেতা গীতিকার মোল্লা আল মামুন, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার নাজমুল হক, বাপা নেতা নদীকর্মী হাসিব সরদার, নজরুল ইসলাম, জেলে সমিতির সভাপতি বিদ্যুৎ মন্ডল, মো. জাহিদ ব্যাপারী প্রমূখ।
উঠানবৈঠকে বক্তারা বলেন জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারনে কৃষি ও প্রাণবৈচিত্র ধ্বংসের পাশাপাশি ঘনঘন ঘূর্ণিঝড়, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদী ভাঙ্গন, জলোচ্ছ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। এরফলে একদিকে যেমন উপকূলজুড়ে তীব্র সুপেয় পানির সংকট সৃষ্টি হয়েছে অন্যদিকে উপকূলবাসী জলোচ্ছ্বাস ও নদী ভাঙ্গনে ভূমিহীন-কর্মহীন হয়ে জলবায়ু উদ্বাস্তুতে পরিণত হচ্ছে। এছাড়া অপরিকল্পিত শিল্পায়নের ফলে সুন্দরবন ও পশুর নদীর জীববৈচিত্র হুমকিতে পড়েছে।
বক্তারা উপকূলজুড়ে পরিবেশবান্ধব-জনবান্ধব টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দের দাবী জানান। একই সাথে বক্তারা উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ডও গঠনের দাবী জানান। উঠান বৈঠক শেষে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সচেতনতা সৃষ্টিতে বাপা এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র পক্ষ থেকে মাস্ক ও সাবান বিতরণ করা হয়।