রাজবাড়ী সংবাদদাতাঃ
গত কয়েকদিন ধরে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে নদীতে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের সারি তৈরি হয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধিতে তীব্র স্রোতের কারণে ধীর গতিতে চলাচল করতে হচ্ছে ফেরিগুলোকে। এতেকরে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ সময় লাগছে, কমে গেছে ট্রিপ সংখ্যাও। ফলে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের সংখ্যা আরও বাড়ছে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানা গেছে, রবিবার (১৯জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদী দৌলতদিয়া পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগের ২৪ ঘন্টায় ২১ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল।
এতে ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৪কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এরমধ্যে প্রায় শতাধিক যাত্রীবাহী যানবাহন ও পচনশীল দ্রব্য বোঝাই পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে। তবে জনদুর্ভোগ কমাতে যাত্রীবাহী যানবাহন ও পচনশীল দ্রব্য বোঝাই ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করছে কর্তৃপক্ষ।
গত চার থেকে পাঁচদিন ধরে ঘাট এলাকায় যানজটে আটকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ রুটে আসা যানবাহনের চালক, সহকারী ও যাত্রীদের। তবে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী পচনশীল গাড়ি ও ব্যক্তিগত যানবাহনকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হলেও অপনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে ১২ থেকে ১৫ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছ ফেরির নাগাল পেতে ।
(বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, গতকয়েকদিনে পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরিগুলো ধীরগতিতে চলাচল করছে। এজন্য ঘাটে কয়েক’শ যানবাহন নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট বড় ১৮ টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে দুর্ভোগ কমাতে যাত্রীবাহী যানবাহন ও কাঁচামালের ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে। বিকালের মধ্যেই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিটে আসবে বলে জানান তিনি।