নওগাঁ সংবাদদাতাঃ
মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে হত্যাকান্ড। নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার চাঞ্চল্যকর মেহেদী হাসান হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
সত্যতা নিশ্চিত করে র্যাব-৫ সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্প থেকে প্রতিবেদককে জানানো হয়, নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার যুবক মেহেদী হাসান (২৩), হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ১৭ আগষ্ট বেলা দু’টার দিকে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার উত্তর রামশালা গ্রাম হতে হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোঃ ওলি (২১) কে গ্রেফতার করেন র্যাবের একটি চৌকস দল। র্যাব আরো জানায়, গত ১১ জুলাই বিকাল সারে ৪ টারদিকে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর গ্রামের ভিকটিম মেহেদী হাসান (২৩) কে একই গ্রামের অভিযুক্ত মোঃ ওলি (২১), মোঃ বান্টু ও মোঃ আনিছুর রহমান (২২), ফোন করে নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। ফোনে ডেকে নেওয়ার পর থেকে যুবক মেহেদী হাসান (২৩) নিখোঁজ হোন। বাড়িতে না ফেরার কারনে মেহেদী হাসানের পরিবারের সদস্যরা ঐদিন রাতে খোঁজ খবর নিয়েও খুঁজে পায়নি মেহেদী হাসানকে। অপরদিকে পরেরদিন ভোর ৬ টারদিকে পত্নীতলা টু মাতাজিহাট রাস্তার পাশে মেহেদী হাসান (২৩) এর মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের নিকট মৃতদেহ হস্তান্তর করেন পুলিশ। উদ্ধারের সময় মৃতদেহে অনেক কালশিরা দাগ ও আঘাতের চিহ্ন ছিলো। এঘটনায় ১২ জুলাই পত্নীতলা থানায় একটি মামলা দায়ের হলে পুলিশের পাশাপাশি ছাঁয়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। মূলত মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পারে র্যাব। এরপর তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে মামলার প্রধান আসামী মোঃ ওলির অবস্থান সনাক্ত করে র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্প। অবস্থান সনাক্তের পরই র্যাব-৫, সিপিসি-৩, এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক মোঃ মাসুদ রানা এবং সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলাম এর নের্তৃত্বে গতকাল বুধবার ১৭ আগষ্ট বেলা দু’টার দিকে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানাধীন উত্তর রামশালা গ্রাম হতে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার মামলা নং-১৯/২৩৬,তারিখ-১২/০৭/২০২২খ্রিঃ,ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ ধারা মামলার এজাহার নামীয় হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোঃ ওলি (২১), পিতা- মোঃ বাবু, সাং- ঘোষনগর হাড়িপুকুর , থানা- পত্নীতলা, জেলা-নওগাঁ কে গ্রেফতার করেন।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীকে নওগাঁর পত্নীতলা থানায় জিডি মূলে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন র্যাব।