শোয়েব হোসেন:
ঢাকার উত্তর সিটির দক্ষিণখান(৪৯ নং ওয়ার্ড) কে. সি স্কুল রোডে পিয়াজ ও চিনি বাদেই টিসিবির ন্যায্য মুল্যের সামগ্রী বিক্রয় কর্মসূচি চলেছে।নানান ঘটনায় আপত্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
দেখা গেছে, বিক্রির জন্য এই সামগ্রীর মধ্যে উপস্থিত রয়েছে শুধু মাত্র ২ লিটার ভোজ্যতেল , ৫ কেজি চাল ও ২ কেজি মসুর ডাল। সকাল থেকে ক্রেতাদের সড়কে ভিড় দেখা যায়। শুধু তাই নয়, সড়কটিতে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় ক্ষনে ক্ষনে যানজট ও বিশৃংখলাও চোখে পড়ে। এদিকে টিসিবির ন্যায্য মূল্যের পণ্যের মধ্যে চিনি ও পেঁয়াজ না দেওয়ায় ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, এই এলাকার অনেক ধনী শ্রেনির ব্যাক্তিরাও এই টিসিবির কার্ড করে অবৈধভাবে সুবিধা ভোগ করছেন। যার কারনে প্রকৃত অধিকারীরাই এই টিসিবির পণ্য ক্রয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
ভুক্তভোগীরা সংবাদমাধ্যকে বলেন, শুধু মাত্র সমাজের পরিক্ষীত দরিদ্র শ্রেণির মানুষই এই টিসিবির পণ্য পাওয়ার অধিকার রাখে। অথচ, যারা ৫/৬ তলা বাড়ি মালিক তারাও এই টিসিবির আওতায় সুবিধা ভোগ করছেন এটা কেন ? এই সব বাড়ির মালিকরা তাদের বাসার কেয়ারটেকার বা সিকিউরিটি গার্ডদের লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখে। আবার কখনো পরিচিত মুখ দেখলে তাদেরকে আগে ভাগেই টিসিবির পণ্য দিয়ে দেন ডিলাররা। আর আমরা ভোর থেকেই লাইনে থেকে পণ্য কেনার জন্য অপেক্ষা করে যাচ্ছি ঘন্টার পর ঘন্টা। তাহলে কেন কেমন অবিচার? এ টিসিবির পণ্য বিক্রির বিষয়ে সঠিক তদন্ত করা উচিৎ টিসিবির কর্তৃপক্ষের ।
বিবিধ বিশ্লেষণে জানা যায়, কর্তৃপক্ষের কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় শুধু অনিয়মের মধ্যেই চলছে মাসের পর মাস এবং সড়কটিতে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় অটোরিকশা-ভ্যানের যানজটে প্রায় সময়ই টিসিবির লাইনে থাকা অপেক্ষমানরা দুর্ঘটনার শিকার হতে দেখা গেলেও সেখানে যেন কারো নজর নেই । তাই অনেকের ক্ষোভ প্রকাশ ও মন্তব্য যে, এই দক্ষিণখান ৪৯ নং ওয়ার্ডের টিসিবির সামগ্রি খোলা মাঠে বিক্রি করলে সড়কটিতে যানজটও হয় না আর দুর্ঘটনায় পড়তেও হয়না অপেক্ষামান ব্যক্তিদের। এ সকল বিষয়ে টিসিবি কর্তৃপক্ষের অবশ্যই সুদৃষ্টি রাখা উচিৎ। অন্যথায় এই অনিয়মের সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের আইনের আওতায় আনা জরুরি।