কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভার নাওগোদা গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠি, রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ৭জনকে গুরুতর আহত করে। আহতদেরকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নাঙ্গলকোট পৌর এলাকার নাওগোদা গ্রামে মুজিবুল হকের ছেলে তোফায়েল মিয়াজী সাবেক কমিশনারের ঔষধের দোকানের সামনে গিয়ে একই গ্রামের শাহজাহান এর ছেলে আক্কাস- “মিয়াজী বংশের” লোকদের ঢালাওভাবে গালমন্দ করতে থাকলে, তাকে জিজ্ঞেস করতে চাইলে আক্কাস তোয়ফায়েলকে তাৎক্ষণিক কিল ঘুষি মারতে থাকে।
এরপর পরেই আক্কাসের পক্ষ নিয়ে ৮/৯ জনের সন্ত্রাসীগ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র,লাঠি,রড ও হাতুড়ি দিয়ে তোফাইলকে বেদম ভাবে মেরে রক্তাক্ত করে। তার শোর চিৎকার শুনে তার বাবা, ২ ভাই, ১ বোন ও ভাতিজারা উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদের উপরও হামলা চালিয়ে গুরুতরভাবে রক্তাক্ত ভাবে জখম করে। গ্রামের প্রতিবেশীরা তাদেরকে উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আশংকাজনক হওয়ায় নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।
আহতরা হলেন- মজিবুল হকের ছেলে তোফায়েল আহাম্মদ মিয়াজী (সাবেক কমিশনার), মাওলানা জিয়াউল হক, অজিউল্লাহ, মৃত হাজী সেকান্দার আলীর ছেলে মজিবুল হক, মুজিবুল হকের মেয়ে ফাতেমা বেগম, আব্দুল আউয়ালের ছেলে অহিদ উল্লাহ, অজিউল্লার ছেলে মাহমুদুল আসিফ প্রমুখ। আহতদের মধ্যে মাওলানা জিয়াউল হক ও তোফায়েল কমিশনারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়।
সন্ত্রাসীরা হলেন, শাহজাহানের ছেলে আক্কাস, মৃত আবদুল আজিজের ছেলে শাহজাহান, মৃত আবদুল আজিজের ছেলে আবুল বশর, আবুল বশরের ছেলে ইমাম হোসেন,আবুল বশরের ছেলে রবিউল হোসেন রবু, আবুল বশরের ছেলে আহসান, সাদেকের ছেলে খুরশিদ আলম কালা, মৃত জিনু মিয়ার ছেলে সাদেক হোসেন প্রমুখ।
আহত ভূক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানায়। এবং শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহতদের পক্ষে আদালতে অথবা থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা যায়।