তানোরে ইউপি সদস্য মাসুমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

আইন-অপরাধ আরো রাজশাহী সারাদেশ
শেয়ার করুন...

তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে আলোচিত এক ইউপি সদস্যর (মেম্বার) বিরুদ্ধে ফের গৃহবধূর ঘরে অনাধিকার প্রবেশ ও তাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। আলোচিত ইউপি সদস্যর (মেম্বার) নাম সামিউল ইসলাম মাসুম (২৮)। তিনি পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও কচুয়া উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত শামসুল ইসলামের পুত্র। এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) কচুয়া উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক মেম্বার শহিদুল ইসলাম তার মাটির দ্বিতল বাড়ি বিক্রি করেন। কিন্ত্ত ওই বাড়ি কেনার জন্য মেম্বার মাসুম নানা তৎপরতা শুরু করেন। তবে মাসুমের কাছে বাড়ি বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানান শহিদুল। এদিকে একই গ্রামের জনৈক ব্যক্তির পুত্র ওই বাড়ি কিনে নেন। তিনি শহরে শ্রমিকের কাজ করে আর বাড়িতে তার স্ত্রী দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। অন্যদিকে মাসুম বাড়ি কিনতে ব্যর্থ হয়ে বাড়ি হাতানোর জন্য জনৈক ব্যক্তির পরিবারকে বাড়ি ছাড়া করতে না অপতৎপরতা শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সম্প্রতি গভীর রাতে মেম্বার মাসুম প্রাচীর টপকে জনৈক ব্যক্তির ঘরে প্রবেশ করে তার স্ত্রীকে একা পেয়ে ধর্ষণের ও এক শিশুকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করে, তবে তার চিৎকারে ব্যর্থ হয়। পালিয়ে যাবার সময় মাসুম হুমকি দেয় বাড়ি ছেড়ে না দিলে তার দুই সন্তানকে গুম করা হবে। এর আগেও একবার মাসুম তার ঘরে ঢুকে গ্রামবাসীর কাছে মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পেয়েছিল।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসী বলেন, হারুন মাস্টারের মদদে মেম্বার মাসুম একের পর এক নানা অপকর্ম করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে। কারণ মাসুমের বিরুদ্ধে কাউকে আইনের আশ্রয় নিতে দেননা হারুন মাস্টার। এবারো আপোষের কথা বলে ভিকটিমকে থানায় যেতে দেয়া হয়নি। এবিষয়ে জানতে চাইলে ভিকটিম বলেন, গভীর রাতে প্রাচীর টপকে মেম্বার মাসুম তার ঘরে ঢুকে তার ক্ষতি করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। মাসুমকে দেখে তার এক সন্তান ভয় পেয়েছে, তিনি বলেন, তারা আর এই বাড়িতে থাকবেন না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য শামিউল ইসলাম মাসুম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে ফাঁসাতে এসব করা হচ্ছে, তবে হারুন মাস্টারের উপস্থিতিতে গ্রামে বসার কথা আছে।
এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, তারা কোনো অভিযোগ পাননি। তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে পাঁচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, তিনি ঘটনা লোকমুখে শুনেছেন এবং তাদের আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।#


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.