অনলাইন ডেস্কঃ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট। তাদের সাহায্য করতে ঢাকা থেকে ফায়ারের উদ্ধারকারী আরও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২০ জনের হ্যাজমট (হ্যাজারডাস ম্যাটারিয়াল) টিম চট্টগ্রামে যাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইনউদ্দিন জানান, উদ্ধারকারী এই দলটি বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, এবং তারা ভেতরে ঢুকে উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে সক্ষম। এছাড়া সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী একটি বিশেষ দলও ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।
এদিকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন জানান, সেনাবাহিনীর যে দলটি আসছে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ ও বর্জ্য ডিপোর কোনো বর্জ্য যাতে ড্রেন থেকে খাল হয়ে সাগরে না যায় সেই ব্যবস্থাই নিশ্চিত করবে। সেনাবাহিনীর অফিসারসহ ১৫০ থেকে ২০০ জন সদস্য তাদের সরঞ্জামসহ এখানে শীঘ্রই আসবেন বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৫ জন ফায়ার সার্ভিসকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ২১ জন ফায়ারকর্মী। আহতদের চট্টগ্রাম সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সামরিক-বেসামরিকসহ মোট ২১জনের মৃত্যু সংবাদের কথা নিশ্চিত করেছে বিভিন্ন মাধ্যম।
গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে কন্টেইনার ডিপোটিতে আগুন লাগে। ডিপোটিতে প্রায় পঞ্চাশ হাজার কন্টেইনার ছিল। রাত বাড়ার সাথে সাথে এ আগুনের ঘটনার ভয়াবহতা বাড়ে। তবে এখন আগুনের মাত্রা কমে আসলেও তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ারের মহাপরিচালক সাংবাদিকদের জানান, এতবড় অগ্নিকাণ্ড হলেও মালিকপক্ষের কারো উপস্থিতি ঘটনাস্থলে তারা লক্ষ করছেন না। তাদের সাথে যোগাযোগ না থাকা একপ্রকার জটিলতা তৈরি করছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, কন্টেইনার ডিপোতে দগ্ধ ও আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপালের পাশাপাশি আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ ঘটনার কারণে চট্টগ্রামের সকল চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আর সকল চিকিৎসককে হাসপাতালে যোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে চট্টগ্রামের জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়। পাশাপাশি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালেও দগ্ধদের চিকিৎসা সেবা দিতে বলেছে সিভিল সার্জনের কার্যালয়।
কনটেইনার ডিপোটিতে এখনও কিছুক্ষণ পরপর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। এরমধ্যে চার কিলোমিটার দূরেও শোনা গেছে কোনো কোনো বিস্ফোরণের শব্দ। বিস্ফোরণে আশপাশের এলাকার বিভিন্ন ভবনের কাচ ভেঙে গেছে।
সূত্রঃ যমুনা টিভি