অনলাইন ডেস্কঃ ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে এদেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ক্ষতিগ্রস্থ করবেন না’। আইনটি সাংবাদিকবান্ধব করে প্রণয়ন করতে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যাতে করে সমস্যার উত্তরণের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ অন্যান্য আইনগুলো সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষার মধ্যদিয়ে রচিত হয়। তা না হলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে বাংলাদেশের অসংখ্য সাংবাদিক। এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ হবে স্বয়ং সরকারও। যা আমাাদের কাম্য নয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম সম্প্রতি সাংবাদিকদের ওপর হামলা, আক্রমন ও মামলা বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণেরও বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। শনিবার সকাল ১০টায় নরসিংদি চেম্বার অব কমার্স মিলনায়তনে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ’র জেলা কাউন্সিল অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ভালোবাসি বলেই বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের মত অবিরত দেশ-মানুষ-মাটি-স্বাধীনতা-স্বাধীকারের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান নিয়ে এগিয়ে চলছি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বড়ই বেদনাহত হৃদয় নিয়ে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় ছুটে চলছি আমার অবহেলিত সাংবাদিক ভাইদের অধিকার আদায়ের জন্য। কেননা, আমাদের প্রেরণা বায়ান্ন, চেতনা একাত্তর। কোন নীতিহীনদের সাথে অতিতেও ছিলাম না; আগামীতেও থাকবো না। অধিকার আদায়ের জন্য নিবেদিত ১৪ দফার এই কর্মসূচী চলছে চলবেই। বাংলাদেশের মফস্বলে থাকা অধিকার বঞ্চিত সাংবাদিকদের সুস্থ্য-সুন্দর-স্বচ্ছ আগামী গড়ার প্রত্যয়ে। আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের আত্মপ্রকাশ স্বাধীনতার চেতনায় অবিরত এগিয়ে চলতে চলতে সত্য বলতে। আর তারই ধারাবাকিতায় আমাদের সারাদেশে সোচ্চার রয়েছেন নিবেদিত হাজার হাজার সংবাদকর্মী। যারা নাওয়া-খাওয়া ভুলে লোভ-মোহহীন নিরন্তর দেশ ও মানুষের জন্য নিবেদিত থেকে কাজ করে যাচ্ছেন অবাধ-সুষ্ঠু-স্বচ্ছ সংবাদ প্রবাহের মধ্য দিয়ে। তবুও তাদের ওপর হামলা-মামলার ঝড় মেনে নিতে পারছিনা। মেনে নিতে পারছি না দায়িত্বরত সংবাদকর্মীদের উপর দিনে দুপুরে হামলার দৃশ্যও। এদেশের সাংবাদিকরা ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান ৭১’র মুক্তিযুদ্ধের চিত্র দেশ ও বিশে^র তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে স্বাধীনতার ৪৮ বছরে দাঁড়িয়ে যখন শুনি আমার সাংবাদিক ভাইয়েরা আক্রান্ত-জখমপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যা রীতিমত আমাদেরকে ভাবিয়ে তোলে। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ। কিন্তু ৪র্থ স্তম্ভ বলা হলেও সাংবাদিকদের রক্ষা করার জন্য কোন ধরনের আইনী সুরক্ষা নেই। সাংবাদিকদের দাবি ও অধিকার আদায়ের লক্ষে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)। ইতিমধ্যে সাংবাদিকদের অধিকার ও সুরক্ষার জন্য আমরা সরকার এবং সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমসমুহের নিকট ১৪ দফা দাবি বাস্তবায়নের আহবান জানিয়েছি।
কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ¦ মনজুর এলাহী। বিশেষ আলোচক ছিলেন বিএমএসএফ’র আইন উপদেষ্টা এ্যাড: কাওসার হোসাইন। কাউন্সিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন’র চেয়ারম্যান এসএম মোরশেদ, বিএমএসএফ’র আইন সম্পাদক এ্যাড: মুহাম্মদ আওলাদ হোসেন, সেভ দ্যা রোড প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, বিএমএসএফ’রসহ-সহ-সভাপতি হেদায়েত উল্লাহ মানিক। অতিথি ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল হাসান মৃধা, আব্দুল হামিদ খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা রিয়াজুল হাসান অভি, ঢাকা জেলার সম্পাদক উজ্জ্বল ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও আবু বকর প্রমুখ। কাউন্সিল উদ্বোধন করেন অধ্যক্ষ ড. মশিউর রহমান মৃধা। কাউন্সিলে মোশারফ হোসেন নীলুকে সভাপতি ও মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাককে সাধারণ সম্পাদক করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়।