সেলিম চৌধুরী হীহাঃ
ডাকাতিয়া নদীর লাকসাম অংশের নাব্যতা ফেরাতে প্রতিবন্ধকতা অপসারণের জন্য ৩২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করেছে লাকসাম উপজেলা প্রশাসন।
২৪ ফেব্রুয়ারি ঘটিত ওই কমিটি ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার থেকে কাজ শুরু করেছে। এক সময় লঞ্চ, পাল তোলা নৌকা চলাচল করতো ডাকাতিয়া নদীতে, এখন সাধারন নৌকাও চলার অবস্থা নেই।
ডাকাতিয়া নদীকে অতীতের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে নদীর পানি প্রবাহের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে প্রশংসনীয় ভূমিকায় নিয়েছেন লাকসামের ইউএনও কাউসার হামিদ৷
লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউছার হামিদের নেতৃত্বে গঠিত ওই কমিটি ডাকাতিয়া নদীর লাকসাম পৌরসভা অংশ, বাকই দক্ষিণ অংশ, মুদাফরগঞ্জ দক্ষিণ অংশ এবং গোবিন্দপুর ইউনিয়ন অংশে ডাকাতিয়া নদীর নাভ্যতা ফেরাতে তলদেশ পরিষ্কার অভিযান পরিচালনা করছে। ডাকাতিয়া নদীর উপর বিভিন্ন স্থানে ব্রিজ নির্মাণের সময় যে বাঁধ দেওয়া হয়েছে ওই বাঁধ পরবর্তীতে না সরানোর কারণে একটি স্থায়ী প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় বাঁশের বেড়া দিয়ে বেসাল জালে মাছ ধরার কারণেও পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। ডাকাতিয়া নদীতে অবাধে পানি প্রবাহিত না থাকার কারণে জলজ প্রাণী, কৃষি সহ হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ। এ হুমকি থেকে ডাকাতিয়া নদীকে বাঁচানোর জন্য এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে লাকসাম উপজেলা প্রশাসন।
এবিষয়ে লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কাউছার হামিদ বলেন, ডাকাতিয়া নদী বর্তমানে খাল, ডোবা, নালায় পরিণত হয়েছে। ডাকাতিয়া নদীকে একটি আকর্ষণীয় নদীতে রূপান্তরিত করার কাজ চলছে।
আমরা প্রথমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযানের অংশ হিসেবে আজকে কচুরিপানা, বেশাল জাল সহ পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ধরনের জিনিস ডাকাতিয়া থেকে অপসারণ করেছি। এতে করে বর্তমানে পানি প্রবাহ বেড়েছে। এই কাজটা একদিনে শেষ করা যাবে না। এটা অনেক দিনের কাজ এবং ডাকাতিয়া নদীর নাব্যতা ফেরাতে সকল ধরনের কাজ চলমান থাকবে।
ডাকাতিয়া নদীতে অনেক জায়গায় স্থায়ী প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এগুলো সরাতে ভেকু সহ বড় ধরনের যন্ত্রপাতি লাগবে বললেও তিনি জানান।