মেফতাহুল জান্নাত, সুন্দরগঞ্জ থেকেঃ
গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ উপজেলাধীন লালচামার, কাপাসিয়া, শ্রীপুর, হরিপুর নদী ভাঙ্গনের হুমকির মধ্যে পড়েছে। জনসাধারণ চরম ভোগান্তিতে পোহাচ্ছে দিন – রাত । বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নদী ভাঙ্গন রোধ প্রকল্প ( Tender Notice No 04|2020-21 ) অনুমদন ২০২০ ও প্রকল্প কাজের শুরু ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে হলেও এখনো ৪০% কাজ দৃশ্যমান হয়নি ।
শুধু মোট ৬টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ করছে ১০ টি প্যাকেজের এর মধ্যে কামনা গ্রুপ একাই ৬টি প্যাকেজ টেন্ডার নিয়েছে। প্রত্যেক প্যাকেজের প্রকল্পের মেয়াদ শেষ তারিখ: ২৬ জুন ২০২২। তবে এখন পর্যন্ত এই প্যাকেজগুলোর কোন প্যাকেজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্প কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি।
এত্র এলাকার সচেতন ব্যক্তিবর্গ অভিযোগ করেন যে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও এখন পযর্ন্ত কোন দৃশ্য মান কাজ দেখা যায়নি। বিধায় অত্র এলাকা প্রবল নদী ভাঙ্গনের কারনে শতাধিক বসত বাড়ী ভিটা জমিজমা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে ও সরকারী স্থাপনা, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট বাজার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মধ্যে রয়েছে।
জনপ্রতিনিধিগন ও সর্বসাধারণ আতংক গ্রস্থ হয়ে পড়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধ প্রকল্প সময় মত শেষ না করার কারনে শতাধিক বসত বাড়ী ভিটা ও জমাজমি নদী ভাঙ্গনের ক্ষয়ক্ষতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে এর দায় ভার নিতে হবে, জানান অত্র এলাকার সচেতন মহল, মাননীয় পানি সম্পদ মন্ত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করছে অত্র নদী ভাঙ্গন এলাকার সচেতন মহল।
উত্তরবঙ্গ তিস্তা নদী ভাঙ্গন রোধ বাস্তবায়ন পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি, নুর আলম সিদ্দিকী সাহেবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ঠিকাদার কোম্পানির দ্বায়িত্বরত ইনচার্জ উলিউল্লা সাহেব বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কাজ করতে বিলম্ব করেন একই ভাবে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিলম্ব হওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে ঠিকাদারে পক্ষ হয়ে একই ভাবে উত্তর দেন।