আব্দুর রাজ্জাক বাপ্পী, ঠাকুরগাওঁ জেলা প্রতিনিধিঃ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রেজিয়া হত্যার রহস্য উদঘাটন করে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ। আজ দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক (পিপিএম-সেবা) বলেন, গেল সোমবার সকালে পীরগঞ্জ থানাধীন ৯ নং সেনগাঁও ইউপির অন্তর্গত কানাড়ী গ্রামস্থ আম বাগানের ভিতরে রেজিয়া খাতুন (৪৮) এর লাশ দেখতে পাওয়া যায়।পরবর্তীতে পীরগঞ্জ থানা ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সংক্রান্তে পীরগঞ্জ থানায় ০১ টি হত্যা মামলা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অত্র মামলার বাদী জুলফিকার আলী রুবেল (২৮) ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকুরী করেন। তার বাবা আনুমানিক ২০ বছর আগে মারা যায়।সে বিবাহিত হওয়ায় তার স্ত্রী ফেন্সি আক্তার (২৭)’সহ তার মা রেজিয়া খাতুন (৪৮) গ্রামে থাকে। এমতাবস্থায় গেল রবিবার রাত আনুমানিক ০৮.৪০ ঘটিকায় বাদী তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে মায়ের খোঁজ নিতে চাইলে তার স্ত্রী বলেন তার মা বাড়ির বাহিরে গেছেন।পরবর্তীতে তার মা বাড়িতে ফিরে না আসলে তার স্ত্রী এবং বাড়ির অন্যান্য লোকজন একত্রে তার মাকে খুঁজতে থাকেন। খোঁজার একপর্যায়ে গেল সোমবার সকালে পীরগঞ্জ থানাধীন ৯ নং সেনগাঁও ইউপির অন্তর্গত কানাড়ী গ্রামস্থ জনৈক মোঃ জাহিরুল ইসলাম (৪৫) এর আম বাগানের ভিতরে প্রতিবেশীরা মৃতা রেজিয়া খাতুন (৪৮) এর লাশ দেখতে পায়। এসংক্রান্তে মৃতা রেজিয়া খাতুন (৪৮) এর ছেলে জুলফিকার আলী রুবেল বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।পরবর্তীতে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার, এর নির্দেশক্রমে উক্ত ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য পীরগঞ্জ থানা এবং জেলা গোয়েন্দা শাখা, ঠাকুরগাঁও এর সমন্বয়ে বিশেষ টিম ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে নিবিড়ভাবে কাজ শুরু করে।একপর্যায়ে স্থানীয় লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ, ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ এবং বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত অপরাধ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানিক দল একই দিনে হত্যার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত আসামি ০১) মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৪৫), পিতা- মৃত তমিজ উদ্দীন, সাং- মালগাঁও এবং ২) মোঃ এনতাজুল (৪৪), পিতা- মৃত ধনীবুল্লা, সাং- কানাড়ী, উভয় থানা- পীরগঞ্জ, জেলা- ঠাকুরগাঁওদ্বয়কে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ডিসিস্ট রেজিয়া খাতুন (৪৮)’কে তারা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কু-প্রস্তাব দেয়। উক্ত কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে তারা রেজিয়ার মুখ চেপে ধরে ও গলায় ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিজা বেগম, ডিআইওয়ান আব্দুল মতিন, এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।