ঝিনাইদহের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ-রসুনের দরপতন

অর্থনীতি পরিবেশ রংপুর সারাদেশ
শেয়ার করুন...

অনলাইন ডেস্কঃ
ঝিনাইদহের পাইকারি বাজারে মুড়িকাটি পেঁয়াজের দাম কমেছে। প্রতি মণ পেঁয়াজ ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর চাষি ও ব্যবসায়ীদের ঘরে মজুত রাখা গত বছরের রসুন বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা মণ দরে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহ জেলা অফিস সূত্রে জানা যায়, দেশের মধ্যে এ জেলা পেঁয়াজ উৎপাদনে অন্যতম। এ বছর প্রায় ১ হাজার হেক্টরে মুড়িকাটি পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। অক্টোবর মাস থেকে মুড়িকাটি পেঁয়াজ উঠতে শুরু করে। এখন ভরা মৌসুম চলছে। শৈলকুপা উপজেলায় পেঁয়াজের চাষ বেশি হয়ে থাকে। গতকাল শনিবার ছিল শৈলকুপায় সাপ্তাহিক হাটের দিন।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রচুর পেঁয়াজ উঠেছে। ছোট সাইজের পেঁয়াজ প্রতি মণ ৪০০ টাকা এবং বড় সাইজের পেঁয়াজ ৭০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়। অর্থাৎ প্রতি কেজির দাম ১০ টাকা থেকে সাড়ে ১৭ টাকা।

শৈলকুপা উপজেলার নৌপাড়া গ্রামের চাষি খয়বার হোসেন বলেন, প্রতি মণ মুড়িকাটি পেঁয়াজ ৪০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছেন। আর হাকিমপুর গ্রামের চাষি আবুল কাশেম বলেন, তার মুড়িকাটি পেঁয়াজ ভালো হয়েছে। ৭০০ টাকা দরে দুই মণ বিক্রি করেছেন।

চাষি হাশেম আলি বলেন, বেশি দামের আশায় গত বছরে উৎপাদিত রসুনের অর্ধেক মজুত করে রেখেছিলেন। দর পড়ে গেছে। ৫০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেন। এতে তার লোকসান হলো।

হিতামপুর গ্রামের ব্যাপারী জালাল হোসেন জানান, গত মৌসুমে ৪০ হাজার টাকার রসুন কিনে মজুত করেছিলেন। শনিবার তা ৪০০ টাকা মণ দরে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। তার ৩০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে।

শৈলকুপা বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ রসুন ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম জানান, পেঁয়াজ রসুনের দরপতন হয়েছে। এতে চাষি ও মজুতদার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি জানান, গতকাল শনিবার অন্তত ১০ ট্রাক পেঁয়াজ রসুন এ বাজার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে গেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহের উপপরিচালক মো. আজগর আলি বলেন, এ জেলার চাহিদা মেটানোর পরও বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ, রসুন উদ্বৃত্ত থাকে। তা দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়৷
সূত্রঃ ইত্তেফাক

image_pdfimage_print

শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.