ঝালকাঠি সংবাদদাতাঃ
মুসলমানদের দ্বিতিয় বৃহত ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল আযাহারবাকি আর মাত্র কয়একদিন। ঝালকাঠিতে জমে উঠতে শুরু করেছেকোরবানি পশুর হাট। বিগত বছরের চেয়ে এবছর কেনা বেচা কম।খামারিদের অভিযোগ গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি এবং দ্রব্যমূলের উর্দ্ধগতির কারনে গবাদি পশুর দাম বেশি। তাই বিক্রি কম। তবে আরতিন থেকে চার দিন পরে বেচা কেনা পুরো দমে শুরু হবে বলে ক্রেতা ওবিক্রেতাদের আশা।
ঝালকাঠি সদর উপজেলা গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বালিঘোনা গ্রামের খামারি আব্দুলহ আল মামুনের ফার্মে প্রায় ২০মন ওজনের একটি গবাদি পশু রয়েছে। শখের এই পশুটির নাম রেখেছেন‘রাজু’। এবারের কোরবানিতে ‘রাজু’র দাম পাঁচ লাখ ৫০ হাজারটাকা হাকানো হলেও এখন পর্যন্ত বিক্রি হয়নি। ঝালকাঠির প্রায় সবগুলো পশুর হাটের এমন চিত্র। কেনা বেচা না হওয়ায় পাইকার ও খামারিরা দুশ্চিন্তায় পরেছেন। বর্তমানে হাটে বেচাকেনা অনেকটা কম। অনেকইশেষের দিকে পশু কিনবেন। ক্রেতা গরু দেখছে কিন্তু যে দাম হাঁকছেতাতে গরু বিক্রি করা যায় না। শেষ মুহুতে বিক্রয় বাড়বে। তবে ক্রেতাদের দাবি বিগত বছর গুলোর চেয়ে এবছর তুলনা মূলক ভাবে পশুরদাম বেশি। জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ে এবছর জেলামোট ২৮ টি পশুর হাট বসেছে। হাট গুলোতে ছোট বড় বিভিন্নরকমের পশু থাকলেও এখন পর্যন্ত কেনা বেচা জমে উঠেনি। তবে কোরবানির আগ মুহুর্তে পশুর হাটগুলোতে বেচা-কেনা জমজমাট হতেপারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ঝালকাঠিতে এবছর ৪১ হাজার ১১৮ টিগবাদি পশুর চাহিদা বিপরিতে ৪১ হাজার ৩০৩ টি গবাদি পশুউৎপাদিত হয়েছে।ভক্সপপ-খামারি, ক্রেতা ও বিক্রেতা। ডা. মো. হাফিজুর রহমান ( জেলা ভেটেনারি অফিসার, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্ত ঝালকাঠি)। ঈদুল আযাহা উপলক্ষে ঝালকাঠি জেলায় ৪৬২ টি খামারে ২৮ হাজারেরবেশি গবাদি পশু মোটাতাজা করন করা হয়েছে। পশুর হাট গুলোতে ১৩টি ভেটেনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে।