জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি বলেছেন, শুধু ঘর গোছানোর জন্য নয়; জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নেয়ার জন্য সারা দেশে দলকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হল সংগঠনকে শক্তিশালী করা। সেই আলোকে সাংগঠনিক কাজ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যখন হসপিটালে ছিলেন তখন বাংলাদেশের মিডিয়াসহ অনেকেই বলাবলি করেছিল- জাতীয় পার্টি শেষ হয়ে যাবে। ১০ টুকরা হবে। ৬ টুকরা হবে। বাস্তবে কিন্তু তা হয়নি। বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিবের নেতৃত্বে দল এখন অনেক শক্তিশালী।
দলের মধ্যে যারা নিষ্ক্রিয় ছিল, অভিমানে দূরে ছিল- তাদের পুনরুজ্জীবিত করে সারা দেশে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড গতিশীল করা হচ্ছে। আগামী স্থানীয় সরকার নির্বাচন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করবে।
সারা দেশে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে সেভাবেই সার্কুলার দেয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় কমিটি ৮টি টিম গঠন করে সারা দেশের জেলা ও উপজেলা সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এ মুহূর্তে সরকারের কাছে জাতীয় পার্টির সবচেয়ে বড় দাবি কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন সারা দেশের মানুষের মধ্যে যেন বিনাপয়সায় বিতরণ করা হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় নরসিংদী পৌর মিলনায়তনে ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় টিমের সঙ্গে নরসিংদী জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির উপদেষ্টা চেয়ারম্যান হেনা খান পন্নি বলেন, জিএম কাদেরের নেতৃত্বে দলকে শক্তিশালী করতে ৬৪টি জেলায় সমন্বয় করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় জেলায় জেলায় সম্মেলন করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রতিটা জেলা এবং উপজেলা জাতীয় পার্টির সংগঠনকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। দলকে শক্তিশালী করে জিএম কাদেরের নেতৃত্বে এককভাবে নির্বাচন করে সরকার গঠন করা হবে ইনশাআল্লাহ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ মো. শফিকুল ইসলাম শফিক।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির উপদেষ্টা চেয়ারম্যান হেনা খান পন্নি, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম বাসেত, কেন্দ্রীয় সদস্য এম মহিবুর রহমান, আবু সাঈদ স্বপন, আবু নাঈম ইকবাল, হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফররুখ আহম্মেদ ও সারোয়ার হোসেন খানসহ স্থানীয় পর্যায়ের জাতীয় পার্টি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ মো. শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কাজ শুরু করে দিয়েছি। এখন থেকে কর্মিসভা ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করে তাদের মনের দুঃখ-কষ্ট দূর করে তৃণমূল পর্যায়ে জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করা হবে।