মোংলা সংবাদদাতাঃ
মোংলার ঔতিহ্যবাহী চটেরহাট বাজারে কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। সোমবার সকাল থেকে মোংলার বৃহত্তর এ হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু আসতে শুরু করে।
দুপুরের পরই কোরবানির পশু দিয়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় হাট। হাটে বড়, মাঝারি ও ছোট সাইজের প্রচুর গরু উঠলেও দাম চড়া থাকায় অনেক ক্রেতা ফিরে এসেছেন।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সোমবার ও বৃহস্পতিবার দুই দিন হাটে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া কেনাবেচা চলবে।
সোমবার সকালে হাটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রচুর কোরবানির পশুর আমদানি হয়েছে। মোটামুটি কেনাবেচা হয়েছে বলে, ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন। তবে হাটে দেশীয় মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি ছিল। তাই এ জাতের গরুর দাম তুলনামূলক বেশি ছিল। হাটে সবচেয়ে বড় গরুর দাম হাঁকা হয়েছিল ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। উপজেলার নিতেখালী গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ও গোয়ালীরমেঠ গ্রামের নূর মোহাম্মাদ শেখ জানান, তারা কোরবানির জন্য দেশি জাতের মাঝারি গরু কিনতে এসেছেন। কিন্তু বড় গরুর তুলনায় এ ধরনের গরুর দাম বেশি। তাই তার মতো অনেক ক্রেতাই ফিরে যাচ্ছেন। আগামী দিন জেলার অন্য কোনো হাটে যাবেন। এদিকে হাটের ইজারাদার ও বাজার কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল ইজারাদার জানিয়েছেন, হাটের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ক্রেতা ও বিক্রেতারা যাতে প্রতারিত না হন সে জন্য মাইকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি উঠছে ছাগল ও ভেড়াও। হাটে প্রতিনিয়ত ভিড় বাড়ছে ক্রেতা দর্শনার্থীদের। তবে বিভিন্ন সাইজের গরু থাকলেও ক্রেতাদের চাহিদা মাঝারিতে।
বিক্রেতারা জানান, ভিড় বাড়লেও খুব একটা ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। অল্প সংখ্যক বিক্রি হলেও মাঝারি সাইজের গরু নিচ্ছেন ক্রেতারা। বড় গরুর কেউ কিনতে চাইছেন না। তাই বিক্রিও হচ্ছে। ক্রেতারা মাঝারি সাইজের গরুর দিকে ঝুঁকছেন বেশি।