সানজিম মিয়া – রংপুর
কেউ আসছেন নতুন করে জন্মনিবন্ধন করতে, কেউ বা নামের ভুল সংশোধন। আবার কেউ কেউ জন্মনিবন্ধন অনলাইনে আপডেট না থাকায় অনলাইন করতে আসছেন। গঙ্গাচড়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নেই এমন মানুষের জটলা এখন নিত্যদিনের ঘটনা। প্রায় ১৮টি সেবা পেতে এখন জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক। কিন্তু অপ্রতুল লোক ও জটিল নিয়মের কারণে ভোগান্তির অভিযোগ করছেন সেবাগ্রহীতারা।
সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিন জন্মনিবন্ধনের সেবা নেওয়ার জন্য যে পরিমাণ লোকজন আসছে সে পরিমাণ জনবল না থাকায় পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছে না সেবাগ্রহীতারা। একটি ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের জনগণ একটি অফিসেই সেবা নিতে আসে। এতে হিমশিম খায় কর্মকর্তারা।
নির্ধারিত ফরমে জন্মনিবন্ধনের জন্য আবেদন করেও দিনের পর দিন ঘুরেও সনদ না পাওয়ার অভিযোগ করছেন অনেকেই। এছাড়া আলাদা বকশিশ না দিলেও সনদ পেতে ঘুরানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জন্মনিবন্ধনের জন্ম তারিখ ভুল সংশোধনীর সুবিধা গোটা রংপুর জেলার কোথাওই মিলছে না।সুবিধাটি বন্ধ আছে বলে জানায় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারেরর উদ্যোক্তারা।
প্রধান সমস্যা হচ্ছে অনেকে এক যুগ আগে হাতে লেখা জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়েছিলেন, এখন ওয়েবসাইটে সেই তথ্য মিলছে না। আবার অনেকে অনলাইন সনদ নিয়েছিলেন, কিন্তু যাদের সনদ নম্বর ১৭ ডিজিটের কম, তাদের তথ্যও ওয়েবসাইটে নেই। আবার ওয়েবসাইটে কিছু জন্মনিবন্ধন পাওয়া গেলেও সেটির নামের বানান বেশির ভাগই ভুল করে উঠানো হয়েছে। আবার সেই বানান বা ছোট-খাটো সংশোধনী করতে গেলে শুরু হয় আরো ভোগান্তি। একটি জন্মনিবন্ধনের তথ্য সংশোধন করতে ব্যায় হচ্ছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা।টাকা ব্যায় করেও সঠিক সময়ে পাওয়া যাচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত ফল।চৌকিদারি ট্যাক্স টোকেন, ইউপি ভ্যাটসহ নানাবিধ পয়সা খসানোর উপায় বপর করে রেখেছেন জনপ্রতিনিধিরা।