শোয়েব হোসেনঃ
গত ২৫শে সেপ্টেম্বর সোমবার আনুমানিক ভোর পাঁচটায় কাজ শেষ করে সাইকেলে গজারিয়া নতুন চাষি থেকে বাসায় ফেরার পথে ৩ জন ছিনতাইকারী হঠাৎ মোটরসাইকেল দিয়ে সাংবাদিকের পথ রোধ করে ভয়ংকর আক্রমনে রক্তাক্ত করে দামি মোবাইল ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়েছে। গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ দড়ি বাউশিয়া স্টেশনে আসার পথে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়,সেদিন ভোর বেলা সাংবাদিক সাগর বাদশা জরুরি কাজ শেষ করে সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ৩ জন অজ্ঞাত ব্যাক্তি মোটর সাইকেলে চালিয়ে পাশাপাশি কথা বলার অযুহাতে হঠাৎ কাছে এসেই গলায় চেপে ধরে। আরেকজন ছুরি দিয়ে এসে দুই জায়গায় আঘাত করে কাঁধ থেকে ক্যামেরাপুর্ন ব্যাগটি চাকু দিয়ে কেটে ছিনিয়ে নেয়।কিছু বুঝতে বা ভাবতে যাওয়ার আগেই তাৎক্ষণিক ভাবে ছিনতাইকারীরা মোটরসাইকেল করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় সাংবাদিক সাগর বাদশা ভবেরচর থানায় গেলে ডিউটিরত পুলিশদের কাছে ঘটনাটি জানান । তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে সেখানে সিসিটিভির কোন ফুটেজ না পাওয়াতে এখন পর্যন্ত ছিনতাইকারীদের কে ধরতে সক্ষম হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ছিনতাইকারীদের কোন ভাবেই চিনতে পারাও সম্ভব হয়নি। কারণ হিসেবে জানা যায়, ছিনতাইকারী তিনজন হ্যামলেট পরা সহ একজন মাস্কও পরা ছিল।সাংবাদিক সাগর বাদশার ভাষ্যমতে, তাকে সেদিন সুযোগ বুঝে মেরেই ফেলতে চেয়েছিল ছিনতাইকারীরা।কিন্তু সময় বেশি লেগে যাচ্ছিলো এবং লোকজন দেখে ফেলতে পারে এমন ধারণা করে লক্ষ টাকার ক্যামেরা ও দামী মোবাইল জোর করে নিয়েই তারা চম্পট দেয়। তড়িঘড়ি করার কারণে তাদের ছুরির ভয়ংকর আঘাত সুবিধা মত বা স্পর্শ কাতর স্থানে না লাগাতে মরনের হাত থেকে বেঁচে যান সাংবাদিক সাগর বাদশা!
শেষ খবরে জানা যায়, ছিনতাইকারীদের বিষয় নিয়ে তদন্ত চলমান আছে এবং পুরো এলাকা জুড়ে থমথমে পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে। দায়িত্বে আছেন ইন্সপেক্টর সুজিত। ইতোমধ্যেই উক্ত ঘটনার বিষয়টি সংবাদ আকারে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে ছড়িয়ে পরতেও লক্ষ্য করা গেছে।
এই খবর প্রচার ও প্রকাশের মাধ্যমে উক্ত এলাকা সম্পুর্ন নিরাপদ ও বিপদমুক্ত করনসহ সাংবাদিক সাগর বাদশার বিষয়ে উচিত ব্যবস্থা গ্রহণ ও সমাধানের জন্য বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, স্থানীয় সচেতন ও প্রভাবশালী মহলের সুদৃষ্টি কামনা করা হচ্ছে।