কুমিল্লা দক্ষিন জেলা প্রতিনিধিঃ ঢাকা চট্রগ্রাম রেলপথে দ্রুততম ট্রেন সোনার বাংলা, মঙ্গলবার এই ট্রেনটি সাপ্তাহিক বন্ধ থাকলেও চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরিক্ষা দিতে সারা দেশ থেকেই পরিক্ষায় অংশগ্রহন করেন শিক্ষার্থীরা, তাই স্পেশাল ভাবে এই ট্রেনটি বন্ধের দিনেও শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে চালু রাখার নির্দেশ দেন রেলওয়ে মন্ত্রনালয়। পরিক্ষা শেষে এই ট্রেনটি চট্রগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসার পর জেআরআই ড. আমিনুল ইসলাম সহ তার ২ সহকারী চেকিংয়ের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় আগত পরিক্ষার্থীদের সাথে বাকবিতণ্ডার জড়িইয়ে পড়েন কর্তব্যরত ৩ টিটিই।
কিছুক্ষণ পর ছাত্রদেরকে মারধর করলে ট্রেনের থাকা সকল পরিক্ষার্থী উত্তেজিত হয়ে গেলে ট্রেন লাকসাম জংশনে আসা মাত্রই ওই ছাত্রদের ১ জনকে টেনে হিঁচড়ে ট্রেন থেকে নামিয়ে লাকসাম রেলওয় নিরাপত্তা অফিসে আটক করে রাখলে ট্রেনের ভিতর থাকা পরিক্ষার্থীরা ট্রেন থেকে নেমে ট্রেনের সামনে গিয়ে রেললাইনের উপর শুয়ে পড়ে।
এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাকসাম জিআরপি থানার সকল পুলিশ ও আএনবি স্টাফদের সহযোগিতার জন্য ছুটে আসেন লাকসাম পুলিশের সার্কেল সিনিয়র এএসপি মুহিতুল ইসলাম , লাকসাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন ভুইয়া ও থানার সকল সদস্য উপস্থিত হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা মতিন ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে আটক থাকা ছাত্রকে ছেড়ে দেয়, এর পর পরই রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল (ডিআরএম) আবুল কালাম চৌধুরী উপস্থিত হয়ে সাথে সাথেই জেআরআই আমিনুল ইসলাম সহ তার দুই সহকারীকে বরখাস্ত করেন এবং বিভাগীয় তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।
পরে ডিআরএম আবুল কালাম চৌধুরী, সার্কেল মুহিতুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা মতিন, লাকসাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন ভুঁইয়া, জিআরপি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন খন্দকারের উপস্থিতিতে সকল ছাত্রদের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চাওয়ার পর ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ট্রেন সোনার বাংলা।