চিলমারীতে প্রায় সাড়ে ৩ বছর কেটে গেলেও, নদী বন্দরের কাজ হয়নি ২০ভাগ

আইন-অপরাধ আরো পরিবেশ রংপুর সারাদেশ
শেয়ার করুন...

হাবিবুর রহমান, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে নির্মাণাধীন নদী বন্দর নির্মাণ প্রকল্পের কাজে ধীর গতি নিয়ে, সাধারণ মানুষের মাঝে নানা প্রশ্নের দেখা দিয়েছে। কাজ শুরুর প্রায় সাড়ে ৩বছর কেটে গেলেও ৩টি ইভেন্টের মাত্র ২০% কাজ হয়েছে বলে জানা গেছে। কাজের অগ্রগতি এবং কাজের মান নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে অনেক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়নে চিলমারী এলাকায় (রমনা, জোড়গাছ, রাজিবপুর, রৌমারী, নয়ারহাট) নদী বন্দর নির্মাণ প্রকল্পের বরাদ্দ দেয়া হয়। যার বাস্তবায়ন কাল জুলাই ২০২১ হতে ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত এবং প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে, ২৩৫কোটি ৫৯লক্ষ টাকা। পরবর্তীতে আরও ১০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৩৩৫ কেটি ৫৯লক্ষ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আরএডিপি বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ৩২কোটি টাকা যা পর্যায়ক্রমে চলমান। কাজ শুরুর প্রায় সাড়ে ৩বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকল্পের ১০-১৫টি অংশের মধ্যে এ পর্যন্ত নদী তীর সংরক্ষণ, আরসিসি জেটি নির্মাণ এবং বিভিন্ন ভবন নির্মাণ এই তিনটি অংশের কাজ শুরু করা হয়েছে। যা অত্যন্ত ধীর গতিতে চলমান রয়েছে। প্রকল্পের চলমান তিনটি অংশের প্রাক্কলিত ব্যায় প্রায় ১০০কোটি টাকা, যার মাত্র ২০% কাজ সমাপ্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। কাজের ধীর গতি এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার আর মাত্র ১১মাস বাকী আছে কিন্তু কাজের অগ্রগতি মাত্র ২০% হয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে অনেক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে, গতকাল বিকাল বেলায় গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার নৌ-বন্দর টার্মিনাল ভবন নির্মাণ এবং নদীর তীর সংরক্ষণের স্থলে ১৫-২০জন শ্রমিক কাজ করছে। কাজ ধীর গতিতে এগিয়ে চলায় স্থানীয়দের মাঝে অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এসময় অনেকে মন্তব্য করেন, ঠিকাদার এবং বিআইডব্লিউটিএ’র দায়িত্বরত ব্যক্তিরা নিজেদের খেয়াল খুশিমত ধীর গতিতে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান এলাকাবাসী। কাজের ভবিষ্যৎ কি তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বলে ধারনা করেন এলাকাবাসী। নদী বন্দর নির্মাণ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী দাউদ ইসলাম বলেন, বন্দর নির্মাণ প্রকল্পের তিনটি অংশের কাজের ২০% অগ্রগতি হয়েছে। এবং কাজ চলমান রয়েছে। চিলমারী নদী বন্দর নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও বিআইডব্লিউটিএ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবুল কালাম আজাদ মোল্লা জানান, চলমান তিনটি কাজের মধ্যে জেটি ৮%, নদীর তীর সংরক্ষণের প্রায় ৪০% এবং ভবন নির্মাণের প্রায় ৩৫% কাজের অগ্রগতি হয়েছে।কাজের ধীর গতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, জমি অধিগ্রহণের কাজ না হওয়ায় এবং ডিপিপি অনুমোদন আটক হওয়ায় কাজে ধীর গতি ছিল। আগামী ২৭সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হতে পারে বলে আমরা মনে করছি, বলে জানান তিনি।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.