বুধবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে আলোচিত এই নায়িকার বাসায় অভিযানে যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা; এরই এক পর্যায়ে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মইন বলেছেন, পরীমণিকে র্যাবের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আমরা তার বাসায় অভিযান চালাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাসার ভেতর তল্লাশি করা হচ্ছে। বাসায় কোনো অবৈধ জিনিস আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাসায় অভিযান শেষে অবৈধ কিছু পাওয়া গেলে তাকে আটক করা হতে পারে।
এরআগে র্যাব ও পুলিশের সদ্যরা যখন পরীমণির বাসার সামনে অবস্থান নেন তখন এ ঘটনা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে আসেন পরীমণি।
ঘটনাস্থলে প্রাথমিকভাবে র্যাবের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই পরীমণির বাসায় অভিযান চালানো হচ্ছে।
লাইভে পরীমণি বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাকে মেরে ফেলার ভয় পাচ্ছি। আমাকে কেউ মারতে চান। কেউ এসে পুলিশের পরিচয় দিয়ে এসে যদি আমাকে খুন করতে আসেন তাহলে আমি কি করবো। তদন্ত করতে এলে আমাকে পরিচয় দিক। তাহলে আমাকে পরিচয় দিতে হবে। যদি সত্যি পুলিশ হয় তাহলে আমি অবশ্যই দরোজা খুলবো।’
তিনি বলেন, আমার বাসার গেটে এসে তারা দরোজা ধাক্কাচ্ছে। পরিচয় জানতে চাইলে তারা বলছেন, তারা পুলিশ। আমি ডিবি অফিসে ফোন করেছি, বনানী থানায় ফোন করেছি। ওসি হারুণ ভাইকে ফোন করলে তিনি বলেন, আমাদের এখান থেকে কেউ যায়নি। তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ যেতে পারেন। দরোজা খুলতে পারো। আমি বলেছি আপনি কনফার্ম না করলে আমি দরোজা খুলবো না।
গত ১৩ জুন প্রথমে ফেসবুক পোস্টে ও পরে বাসায় সংবাদ সম্মেলনে পরীমণি অভিযোগ করেন, ৯ জুন উত্তরার বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালান জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবাসন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় পরদিন সাভার থানায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন তিনি।
এর পরদিন নাসির উদ্দিন, অমিসহ পাঁচজনকে উত্তরা থেকে আটক করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। অভিযানে ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ-বিয়ার ও ইয়াবা জব্দ করা হয়। ওই দিন রাতেই বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে ডিবি পুলিশ। পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি নাসির ১৫ দিন কারাভোগের পর মুক্তি পান।