কচুয়া সংবাদদাতাঃ
চাঁদপুরের কচুয়ায় দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গনর্ধষনের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটছে উপজেলার কচুয়া ৬নং কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের তেতৈয়া গ্রামে। কচুয়া থানা অভিযোগ ও ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানাগেছে শুক্রবার সকাল ১১ টার সময় তেতৈয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী তাঁর অসুস্থ্য বোনের জন্য কচুয়া স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে খাবার নিয়ে যাওয়ার সময় তেতৈয়া গ্রামের মাদ্রাসা সংলগ্নবাড়ির নুরুল ইসলামের বখাটে ছেলে মোহাম্মদ উল্যাহ (৩৫) ও একই গ্রামের খামার বাড়ির আবু মুছার ছেলে হাসান দেখতে পেয়ে ছাত্রীর পিছু নিয়ে হাসপাতাল পযর্ন্ত ছুটে যায় এবং বখাটেরা কচুয়া স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে সামনে সিএনজি নিয়ে উৎ পেতে থাকে। বখাটেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী মাদ্রাসার ছাত্রী তাঁর অসুস্থ্য বোনকে খাবার দিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে ফেরার সময় তাদের ফাঁদে পরে সিএনজিতে উঠে । এসময় সপ্তম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রীকে একগ্লাস পানি পান করে তাকে অচেতন করে তেতৈয়া হয়ে উজানী গ্রামের একটা খালি বাড়িতে নিয়ে রাখে । এসময় দুই বখাটে অচেতন মাদ্রাসার ছাত্রীর উপর অমানভিকভাবে শাররীক নির্যাতন শুরু করে ও ছাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করে। ওইসময় মাদ্রাসার ছাত্রীর জ্ঞান ফিরে আসলে চিৎকার করার চেষ্টা করলে তাঁর মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক আবারো ধর্ষনের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে মাদ্রাসার ছাত্রী চিৎকারে বখাটেরা পালিয়ে যায় । ওই মাদ্রাসার ছাত্রী কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে এসে পুরা ঘটনাটি মাকে খুলে বলে।
ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে ওইদন রাতে টাকার মাধ্যমে দামাচাপা দেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় রবিবার সকালে মাদ্রাসার ছাত্রীর বাবা মহিব উল্যাহ কচুয়া থানা ধর্ষনের অভিযোগ দায়ের করেন ।
এব্যাপারে কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন,ওই মাদ্রাসার ছাত্রীর পিতা মহিবউল্যাহ বাদী হয়ে কচুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আমরা অভিযোগের আলোকে প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াররম্যান এম আখতার হোসাইন জানান,মোহাম্মদ উল্যাহ ও হাসান খুব উশৃঙ্খল যুবক । এরা দুজনে এর পূর্বে আরো কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কচুয়া থানার ওসি স্যারকে বিষয়টি অবগতি করেছি এবং দোষীদের শাস্তি দাবী করছি।