চলন্ত শাটল ট্রেনে প্রতিনিয়ত পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। চবির রাতের ট্রেনে প্রায় নিয়মিত হয়ে পড়েছে পাথর নিক্ষেপ। এরমধ্যে গত এক সপ্তাহে ঢিলের আঘাতে আহত হয়েছেন অন্তত আট শিক্ষার্থী।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান বাহন শাটল ট্রেন। এ কারণে প্রতিনিয়ত রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনা ঘটলেও নিরূপায় হয়ে ওই ট্রেনেই যাতায়াত করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েও কোনো সুরাহা মিলছে না।
শনিবার বিকেল ৪টার দিকে শাটলে ঢিলের আঘাতে নাক ফেটে গুরুতর আহত হয়েছেন এক শিক্ষার্থী। যদিও এ দিন সকালেই এর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। বার বার এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার সকালে ক্যাম্পাস থেকে শহরগামী শাটলে পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম।
এসময় তিনি শাটল ট্রেনে বহিরাগত এবং টোকাইদের দেখলেই নামিয়ে দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেন। প্রয়োজনে তারা আইডি কার্ড চেক করতে বলেন।
তিনি জানান, যেসব জায়গায় পাথর নিক্ষেপ হয়, সেসব স্থানে পুলিশি টহল থাকবে। এছাড়া সাদা পোশাকেও পুলিশ অবস্থান থাকবে।
এই অভিযানের পরও ঢিলের আঘাতে শিক্ষার্থী আহত হওয়ার বিষয়ে সহকারী প্রক্টর শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশে বায়োজিদ থানার পুলিশ ছিল। কিন্তু ঘটনাস্থলে ছিল না। যারা ঢিল ছুড়ে, তাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। পুলিশ পোশাকে ও সাদা পোশাকেও অবস্থান করছে। আমরা চেষ্টা করছি। আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাটলের বাইরে থেকে ছোড়া ঢিলে গুরুতর আহন হন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ইয়াসিন তোশি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে ট্রেনটি ষোলশহর থেকে ক্যাম্পাসে ফেরত যাওয়ার সময় ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ঢিল ছোড়া হয়। এতে গুরুতর আহত হন ইয়াসিন তোশি। তার মাথার রগ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়। পরে তাকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পরদিন শুক্রবারও রাত সাড়ে ৮টার শাটলে অসংখ্য ঢিল ছোড়া হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সতর্ক থাকায় এ দিন কেউ আহত হননি।