শাহানাজ পারভীন চট্টগ্রামঃ-
বন্দর নগরীর চট্টগ্রামের ডিসি হিলের পার্কে প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলার প্রাণের উৎসব ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণ উদযাপন অনুষ্ঠান উপলক্ষে সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদের দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন চূড়ান্ত করা হয়েছে।
১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) বাঙালির এই উৎসব পালনে ইতমধ্যে পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।
১৯৭৮ সালে সামরিক শাসনের নির্মমতাকে উপেক্ষা করে চট্টগ্রামের ডিসি হিলে সর্বস্তরের সংস্কৃতিকর্মীরা বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানানোর জন্য সমবেত হয়েছিলেন। ডিসি হিলের এ উৎসব এখন চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের প্রধানতম একটি আয়োজন।
ইতোমধ্যে এ আয়োজন ৪৬ বছরে পদার্পণ কর হয়।
এ উপলক্ষে গত ১ এপ্রিল পরিষদের আহবায়ক অলক ঘোষের সভাপতিত্বে এক কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় দিনব্যাপী বাঙালির এই প্রধান উৎসবকে যথা-সম্ভব বর্ণাঢ্য ও ব্যাপক করার নিমিত্তে সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সুচরিত দাশ খোকন, আবদুল হাদী, মোহাম্মদ আলী টিটু, শান্তনু দাশ, মিখাইল মোহাম্মদ রফিক, বাপ্পা চৌধুরী, রিপন বড়ুয়াসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন নাট্য ও সংস্কৃতিকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানমালায় থাকবে গান, নাচ, আবৃত্তি পরিবেশনসহ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা। সভায় নববর্ষের দিন ভোর সাড়ে ছয়টা থেকে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
‘পহেলা বৈশাখ বাঙালির উৎসব, সবার যোগে জয়যুক্ত হোক’ এই শিরোনামে বিগত বছরগুলোর মতো ভোরের আলোয় সংগীতে-কবিতায়-নৃত্যে নববর্ষকে আবাহন জানিয়ে সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহের পরিবেশনা থাকবে।
সংগীতে অংশ নেবে সংগীত ভবন, ছন্দানন্দ সাংস্কৃতিক পরিষদ, সুর-সাধনা সংগীতালয়, জয়ন্তী সংগীত বিদ্যাপীঠ, রাগেশ্রী, সৃজামি সাংস্কৃতিক অঙ্গন, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী চট্টগ্রাম জেলা, গীতধ্বনি সংগীত অঙ্গন, শান্তঞ্জলি সংগীত নিকেতন, শাস্ত্রীয় সংগীত নিকেতন, ফতেয়াবাদ সংগীত নিকেতন, মিতালি সংগীত বিদ্যালয়, খেলাঘর মহানগর, ইমন কল্যাণ সংগীত বিদ্যাপীঠ, আরকে মিউজিক, শহীদ মিলন সংগীত বিদ্যালয়, বংশী শিল্পকলা একাডেমি, কুসুম ললিতকলা একাডেমি, অনন্যা সংগীত নিকেতন ও সুন্দরম শিল্পী গোষ্ঠী।
নৃত্যে থাকবে কায়া আশ্রম, নটরাজ নৃত্যাঙ্গন একাডেমি, স্কুল অব ওরিয়েন্টাল ডান্স, ওডিসি অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার, ঘুঙুর নৃত্যকলা কেন্দ্র, সঞ্চারী নৃত্যকলা একাডেমি, সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ, দি স্কুল অব ক্লাসিক অ্যান্ড ফোক ডান্স, নৃত্যানন্দন, নৃত্য নিকেতন, অঙ্গনা নৃত্যকলা একাডেমি, ধ্রুপদ নৃত্য নিকেতন, সৃষ্টি কালচারাল ইনস্টিটিউট, নৃত্যরূপ একাডেমি, কৃত্তিকা নৃত্যালয় ও নিপ্পন একাডেমি।
আবৃত্তিতে থাকবে বোধন আবৃত্তি পরিষদ, উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জ, নরেন আবৃত্তি একাডেমি, বোধন আবৃত্তি পরিষদ, শৈশব, তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, স্বরনন্দন প্রমিত বাংলা চর্চা কেন্দ্র, প্রমা আবৃত্তি সংগঠন ও উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জ। জাদু প্রদর্শন করবেন জাদুকর রাজীব বসা