জহুরুল ইসলাম হালিম, রাজবাড়ীঃ
প্রযুক্তির সহায়তায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ হতে পিকাপ ভর্তি ছাগল চুরির ঘটনায় চোর চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে চুরি যাওয়া পিক-আপটি।
আটককৃত আসামীর নাম আনন্দ ঘোষ (১৯)। সে নরসিংদী জেলার ব্রাক্ষনপাড়ার সাগর ঘোষের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার (১১ আগষ্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নরসিংদী জেলা সদরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক হওয়া যুবকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ১২ আগষ্ট শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে নরসিংদী জেলার মাধবদী থানার ভগিরথপুর এলাকার মো. রাজাউল ভুইয়ার গাড়ির গ্যারেজ থেকে চোরাই কাজে ব্যাবহৃত নীল রংয়ের নাম্বার বিহীন পিকাপটি উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে ,গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া হোসেন মন্ডল পাড়ার বাসিন্দা খবির মাঝির নিকট থেকে গত ১০ আগষ্ট বুধবার রাত্র অনুমান ১১ টার দিকে বড় আকৃতির ১৩ টি ছাগল ১ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেন স্থানীয় ছাগল ব্যাবসায়ী সুলায়মান হেসেন ও রশিদ মন্ডল।
ছাগলগুলো ঢাকায় নেওয়ার জন্য তারা দৌলতদিয়া বাজার রেল ষ্টেশন হতে একটি পিকাপ ভাড়া করে চালককে হোসেন মন্ডল পাড়ার সমীর শেখের মুদিখানা দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর আসতে বলে। পরবর্তীতে অজ্ঞাতনামা তিন জন ওই পিকাপটি নিয়ে উক্ত স্থানে আসলে রাত্র অনুমান ১ টার সময় সোলাইমান ও তার পার্টনার রশিদ মন্ডল উক্ত পিকাপে তাদের ছাগলগুলো লোড করে।
কিছু সময় পর সুলাইমান তার মোবাইল আনতে ছাগল বিক্রেতা খবির মাঝির বাড়ির ভিতরে যান। এ সময় রশিদ মন্ডল ছাগলের জন্য খাবার আনতে পিকাপ থেকে নিচে নামেন। এই সুযোগে চালক সেখান থেকে পিকাপটি নিয়ে সটকে পড়ে।
পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন স্থানে পিকাপটি খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি।
এ অবস্হায় পরদিন ১১ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকালে ব্যাবসায়ী সোলাইমান অজ্ঞাতনামা তিন জনকে আসামী করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার জানান, মামলার পরপরই তারা আসামীদের আটকের তৎপরতা চালায়। বাদীর দেয়া মোবাইল নাম্বার ট্রাকিং করে অল্প সময়ের মধ্যেই আসামীকে আটকসহ চোরাইকাজে ব্যাবহৃত পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করা হয়। অপর আসামীদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে।