রাজবাড়ী সংবাদদাতাঃ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পানিতে পড়ে আলিফ নামে ৫ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের দূর্গম চর কুশাহাটা গ্রামের পাশে পদ্মা নদীর ক্যানাল হতে শনিবার (২৩ জুলাই) ভোর সারে ৫ টার দিকে স্থানীয় জেলেরা শিশুটির লাশ ভেসে থাকতে দেখে। পরে তাদের চিৎকারে গ্রামবাসী ও স্বজনরা এসে লাশ উদ্ধার করে গোয়ালন্দ হাসপাতালে নিয়ে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শুক্রবার বিকেল হতে শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছিল না।
এদিকে শিশুটির পিতা আল-আমিনের দাবি,তার সন্তানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ পানিতে ভাসিয়ে রাখা হয়।
শিশুটির বড় মামা মোতালেব মন্ডল বলেন, আমার বোন ডালিমের সাথে ৮ বছর আগে একই ইউনিয়নের ফেলু মোল্লার পাড়ার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আলামিনের বিয়ে হয়। সে ডালিমকে ঠিকমত ভরনপোষণ দিত না। যা আয় রোজগার করত তা গাজা খেয়েই উড়িয়ে দিত। গত তিন বছর ধরে সে তার বৌ-ছেলেকে আমাদের বাড়িতে ফেলে রেখেছিল। কোন ভরন-পোষন দেয়না।খবর দিলেও আসত না।
শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিক থেকে আলিফকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আমরা সম্ভাব্য সব জায়গায় তার খোঁজ করি। এমনকি নদীতে জাল ফেলে অনেক রাত পর্যন্ত তল্লাশি করি। শনিবার ভোরে জেলেরা লাশ ভেসে থাকতে দেখে চিৎকার করে। পরে আমরা সবাই গিয়ে লাশ উদ্ধার করি।
তিনি বলেন,আলিফ আমার বোনের ছেলে হলেও আমার সন্তানের মতই ছিল। আমার ছেলে-মেয়েদের সাথে খুব মিলেমিশে থাকত। ওর এ মৃত্যুতে আমাদের গোটা পরিবারে শোকের মাতম চলছে। অথচ ওর বাপ আবোল-তাবোল কথা বলছে।
আলিফের পিতা আল- আমীন বলেন, আমার ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে। ডালিমের সাথে একজন লোকের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। শিশু ছেলেটা পথের কাটা হওয়ায় তাকে হত্যা করে পানিতে ফেলে রাখা হয়েছে। ডালিম এর আগে দুইবার ওই লোকের সাথে কুকর্মে ধরা পড়ে জরিমানা দিয়েছে। তাছাড়া সে আমার বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুকের মামলা দায়ের করেছে। যা গত দুই বছর ধরে চলমান রয়েছে। আমি তাকে বাড়িতে নিয়ে আসতে চেয়েছি, কিন্তু সে আসেনি।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, এ বিষয়ে আপাতত একটি অপমৃত্যুর মামলা নেওয়া হয়েছে। শিশুটির লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ীর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
ছবি সংযুক্ত
জহুরুল ইসলাম হালিম
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
তারিখ-২৩ জুলাই ২০২২ ইং
মোবাইল-০১৭১৬৮৯৭৩৮৩।