গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) সংবাদদাতাঃ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৯ জুলাই) গোয়ালন্দ উপজেলার মকবুলের দোকান সংলগ্ন ৫নং নবুওছিমদ্দিন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে শেষ হয় বেলা সাড়ে ৩টায়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ।
অপর দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ মাহমুদ (খৈয়ম গ্রুপ) সমর্থকরা এ সম্মলনকে বয়কট করেছেন। তারা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সুলতান নুর ইসলাম মুন্নু মোল্লার নেতৃত্বে সকাল ১০টায় গোয়ালন্দ বাস ষ্ট্যান্ড এলাকায় শতাধিক নেতাকর্মী সমাবেত হয়ে সম্মেলন বয়কটের ঘোষণা দেন। তারা সম্মেলনকে অগণতান্ত্রিক ও পকেট কমিটি হিসাবে আখ্যা দেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো.নিজামউদ্দিন শেখের সভাপতিত্বে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড.লিয়াকত আলী বাবু, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, সেলিমুজ্জামান সেলিম, জেলা বিএনপির যুগ্ন-আহবায়ক এ্যাড. আসলাম মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ হারুন, প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. কামরুল আলম।
এছাড়া জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দরা এ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বিএনপিকে শক্তিশালী করতে দেশব্যাপী কাউন্সিল করে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করা হচ্ছে। এই শক্তিশালী বিএনপি বতর্মান সরকারকে পতনের আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে উপজেলা বিএনপির ২০ ও পৌর বিএনপির ৪৫ জন কাউন্সিলদের ভোটের মাধ্যমে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করেন।
সম্মেলনে গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে নিজাম উদ্দিন শেখ, সাধারণ সম্পাদক পদে মোশারফ আহমেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন আমজাদ হোসেন। এসময় কেন্দ্রীয় নেতারা সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসাবে মো. আইয়ুব আলী খানের নাম ঘোষণা করেন।
এছাড়াও পৌর বিএনপির সভাপতি পদে আবুল কাসেম মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান মজি এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন সাইদুল ইসলাম সরদার।
সম্মেলনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সহকারী রির্টানিং অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন কালে এ্যাড. শফিকুল ইসলাম বলেন, গণতান্ত্রিক পন্থায় ইউনিয়ন বিএনপির ৫ জন করে চার ইউনিয়ন থেকে মোট ২০ জন ও পৌর বিএনপির প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে ৫ জন করে মোট ৪৫ জন কাউন্সিলর ভোটের মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করেছেন।