রাজবাড়ী সংবাদদাতাঃ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলাধীন গোয়ালন্দ বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত ‘মের্সাস দাদাভাই এন্টারপ্রাইজ’ নামক এক প্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙ্গে নগদ অর্থ, ব্যাংকের চেকবই,পাসপোর্টসহ জমির দলিল লুটের ঘটনা ঘটেছে। দূর্বৃত্তরা এ সময় হাত-পা, মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায় ওই প্রতিষ্ঠানের নৈশ প্রহরীকে।
প্রায় ৮ ঘন্টা পর সেখান থেকে ১ কিলোমিটার দূরে উপজেলা কমপ্লেক্স জামে মসজিদের বারান্দা থেকে নৈশ প্রহরীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩ টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে এ ঘটনাটি ঘটে।
মের্সাস দাদাভাই এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্ত্বাধিকারী রেজাউল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে গাড়ি বোঝাই গ্যাস সিলিন্ডার নামানোর পর লোহার আলমারী, দোকানের শার্টার ও কলাপসিবল গেট তালাবদ্ধ করে তারা বাসায় যান। প্রতিষ্ঠানটির সামনেই শামসু শেখ (৩৭) নামের এক যুবক পাহারাদার হিসেবে ছিলেন। গতকাল বুধবার সকাল ৬টার দিকে স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের শাটার খোলা থাকা দেখে তাদেরকে খবর দেন। খবর পেয়ে দেখেন দোকানের কলাপসিবল গেটে লাগানো সবকটি তালা নেই। দুর্বৃত্তরা তালা কাটার পর শাটারের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। পরে তারা লোহার লকারের তালা ভেঙে নগদ পৌনে ২ লাখ টাকা, তিনটি ব্যাংকের চেকবই, পাসপোর্ট এবং বাড়ির কিছু জমির দলিল নিয়ে যায়। এ সময় দূর্বৃত্তরা প্রতিষ্ঠানের চারপাশে স্থাপিত ১৬ টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি) ভাঙচুর করে হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানের বাইরে লাগানো বৈদ্যুতিক বাতিও তারা ভেঙ্গে ফেলে।
এদিকে অপহরনের শিকার প্রতিষ্ঠানটির পাহারায় শামসু শেখকে প্রায় ৮ ঘন্টা পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলা কমপ্লেক্সে জামে মসিজদের বারান্দায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নেয়।
খবর পেয়ে দুপুরে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাঈন উদ্দিন চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, উদ্ধার হওয়া নৈশ প্রহরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় বুধবার (৩ আগষ্ট) বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী রেজাউল খান রেজা (৩৬) অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামী করে থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন। ঘটনার অনুসন্ধান এবং আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালছে।