গোবিন্দগঞ্জে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হতে চান আব্দুল লতিফ প্রধান

রাজনীতি সারাদেশ
শেয়ার করুন...

rগোবিন্দগঞ্জ সংবাদদাতাঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে সবসময় জনগনের কল্যানে ছুটে চলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের রাজপথের একজন লড়াকু সৈনিক আগামী উপজেলা সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদ-প্রত্যাশী আব্দুল লতিফ প্রধান।
আব্দুল লতিফ প্রধান উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের পুনতাইর গ্রামের সম্ভ্রান্ত প্রধান ও আওয়ামী পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি কুঠিবাড়ী মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করেন, সেখান থেকে গোবিন্দগঞ্জ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ থেকে শিক্ষা অর্জন করেছেন।

তার বনার্ঢ্য রাজনৈতিক জীবনের সংক্ষিপ্ত বিবরন তুলে ধরা হচ্ছে, ১৯৮৭ সালে গোবিন্দগঞ্জ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হাতেখড়ি, মিছিল মিটিং এ সব সময় থাকতেন অগ্রগামী। ১৯৯১ সালে গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেন, ১৯৯২ সালে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
ছাত্রলীগের দুঃসময়ে সম্মেলনের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ ভোটে ১৯৯৪ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং দক্ষতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৯ সালে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ২০১৬ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বিএনপির সরকারের সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্যাতিত হয়ে কারাবরণ করেন ও তৎকালীন চারদলীয় ঐক্য জোটের শাসন আমলে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রনী ভূমিকা পালন করায় বিভিন্ন সময়ে ১৮ টি মামলার আসামী হয়ে দীর্ঘ দিন কারাভোগ করেছেন।
আব্দুল লতিফ প্রধান ছাত্রনেতা থাকা অবস্থায় (২০০৩ সালে) মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে তৎকালীন রাজশাহী বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটে পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক কর্মকান্ডে অত্যান্ত সন্তুষ্ট হয়ে ইউনিয়নবাসী তাকে পরপর তিন বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। ২০১১ সালে বাংলাদেশ চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ইউপি চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। ইউপি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে (২০১৫ ও ২০১৭) জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হয়ে স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে রংপুর বিভাগের একমাত্র ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে ভারত, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইন সফর করেন। ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন ও বর্তমানেও নিষ্ঠার সাথে এ দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৪ সালের প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে ৯৯,৪১৪ ভোট পেলেও সামান্য ভোটে ব্যবধানে হেরে যান। কিন্তু ২০১৯ সালে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪র্থ ধাপের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহন করে বাংলাদেশ মধ্যে সর্বোচ্চ ১,৪১,২১৪ ভোটে পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
বর্তমানে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল নির্দেশনা অনুযায়ী সুনামের সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ও দলীয় সকল গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সম্মুখ সাড়ি থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মহামারী করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ মোকাবেলা করতে সারাদেশে সরকারের লকডাউন চলাকালীন সময়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কর্মহীন সকল পেশার মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন ও সবসময় জনগনের খোজ খবর রাখতেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল পেশার মানুষের কল্যানে সবসময় পাশে থাকেন জননেতা আব্দুল লতিফ প্রধান। তিনি বলেন, সারাজীবন জনগনের কল্যানে রাজনীতি করে এসেছি, দলের জন্য মামলা, হামলা, জেল, জুলুম, অত্যাচার ভোগ করেছি। সব সময় দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।

আসন্ন আগামী উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে দল আমাকে মূল্যায়ন করবে। উপজেলার সকল নেতাকর্মী আমার পাশে থেকে সহযোগীতা ও সমর্থন জানিয়ে আমাকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে উপজেলা আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করবে এটাই আমার প্রত্যাশা।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.