খুলনা সংবাদদাতাঃ
খুলনা মহানগরীর জোড়াগেটে কোরবানির পশুর হাট । এটিই খুলনা বিভাগের সবথেকে বৃহৎ কোরবানির পশুর হাট। মহানগরীর জোড়াগেট কেসিসির তত্ত্বাবধানে একটিসহ কুরবানির গরু-ছাগল কেনার জন্য খুলনায় ২৪টি স্থানে হাট বসছে। জেলায় হাটের সংখ্যা ২৩টি এর মধ্যে জেলার নয়টি উপজেলায় ১৪টি স্থায়ী এবং ৯টি অস্থায়ী হাট বসছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার পাশাপাশি জাল টাকা প্রতিরোধের জন্য পৃথক দল গঠন করা হয়েছে। খুলনা জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ বছর জেলায় নয়টি থানার ২৩টি স্থানে ও কেসিসির তত্ত্বাবধানে মোট ২৪টি গরু-ছাগলের হাট বসছে। এ গুলো হলো- রূপসা থানায় পূর্বরূপসা বাজারে একটি স্থায়ী, রূপসা ডিগ্রী কলেজের পার্শ্বে, এলাইপুর মোড় ও আইচগাতী আমতলা গরুর বাজারে তিনটি অস্থায়ী হাট বসছে। বটিয়াঘাটা থানার বটিয়াঘাটা বাজারে একটি স্থায়ী এবং খায়রাবাদ ও বাইনতলায় একটি অস্থায়ী হাট বসছে। তেরখাদার ইখড়ি বাজারে, দিঘলিয়ার কেটলা বাজারে বসছে স্থায়ী হাট। এছাড় পথের বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এবং এমএ মজিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে দু’টি অস্থায়ী হাট বসছে। ফুলতলা বাজারে বসছে একটি স্থায়ী কুরবানীর হাট। সব থেকে বেশি হাট বসছে (চারটি) ডুমুরিয়া উপজেলায়। এখানে শাহাপুর বাজার, খর্ণিয়া বাজার, ১৮ মাইল বাজার ও চুকনগর বাজারে স্থায়ী হাট বসছে। এছাড়া বানিয়াখালী বাজারে বসছে আরও একটি অস্থায়ী হাট। দাকোপের চালনা বাজার ও বাজুয়া বাজার। পাইকগাছার কাশিমনগর বাজার, বাঁকা বাজার, চাঁদখালী বাজারে স্থায়ী হাট বসছে। কয়রা উপজেলার ঘুগরাকাঠি বাজার ও দেওলিয়া বাজারে বসছে দু’টি অস্থায়ী হাট। কেসিসি’র জোড়াগেটের হাটটি সোমবার থেকে শুরু হবে। কেসিসি’র নিজস্ব নিরপত্তাকর্মী ছাড়াও ৪০ জন পুলিশ হাটের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াৎ হোসেন জানান, কুরবানির পশু কিনতে আসা মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে ইতোমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাটগুলোতে শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷